মুহাম্মাদ ইমদাদুল্লাহ - তাকমীল, জামিয়া ইসলামিয়া, পটিয়া
Question
ইমাম বুখারী রাহ. থেকে সহীহ বুখারী রেওয়ায়েতকারী তাঁর একজন বিশেষ শাগরিদ হলেন হাম্মাদ ইবনে শাকের রাহ.। ‘ইরশাদুস সারী (১/৩৯) ও ফাতহুল বারী (১/৫)-এর নুসখায় তার নিসবত النسوي ‘ওয়াও’-এর সাথে বলা হয়েছে। কিন্তু সিয়ারু আলামিন নুবালায় (৫/১৫) তা আছে ‘ফা’-এর সাথে। অর্থাৎ আননাসাফী।
শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রাহ. ‘তাহকীকু ইসমাইস সহীহাইন’ পুস্তিকায় (পৃ. ১৫, টীকা : ৩) বলেছেন, ‘আননাসাফী ‘ফা’-এর সাথে তাহরীফ।’ কিন্তু আল্লামা যাহিদ কাওছারী রাহ. ‘‘শুরূতুল আইম্মাতিল খামসাহ লিল হাযিমী’’র টীকায় (পৃ. ১৫৩) হাম্মাদ ইবনে শাকির আননাসাফী (ফা-এর সাথে) উল্লেখ করার পর বলেছেন-
وهو الصواب এখানে শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রাহ. বলেন, তাঁর মন্তব্য-وهو الصواب ইঙ্গিত করে যে, হাম্মাদের নিসবতের ক্ষেত্রে আননাসাফী-ই সঠিক। আননাসাভী (ওয়াও-এর সাথে) সঠিক নয়, যেমন ফাতহুল বারী ও ইরশাদুস সারীতে রয়েছে।
আমার প্রশ্ন এই যে, শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রাহ.-এর দুই মন্তব্যের কোনটি সঠিক। হুজুরের নিকট সমাধান কামনা করছি। আল্লাহ হুজুরকে দীর্ঘ হায়াতে তাইয়্যিবাহ দান করে আমাদেরকে উপকৃত করুন। আমীন।
Answer
হাম্মাদ ইবনে শাকির রাহ. ‘নাসাফে’র অধিবাসী ছিলেন। ‘তারীখু নাসাফ’ কিতাবে তাঁর তরজমা আছে। শামসুদ্দীন যাহাবী রাহ. ‘তারীখু নাসাফে’র বরাতে ‘সিয়ারু আলামিন নুবালা’য় তাঁর তরজমা লিখেছেন। তাঁর মৃত্যু-সনও সুনির্দিষ্ট করে বলেছেন। সম্ভবত হাফেয ইবনে হাজার রাহ.-এর সামনে তাঁর বিস্তারিত তরজমা ছিল না। তাই তাঁর মৃত্যু-সন সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করতে পারেননি। যাইহোক, হাম্মাদ ইবনে শাকির রাহ.-এর সহীহ নিসবত ‘আননাসাফী’ (ফা-এর সাথে)।
শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রাহ. ‘তাহকীকু ইসমাইস সহীহাইনে’র যে নুসখা আরো সম্পাদনা ও টীকা সংযোজনের জন্য নিজের কাছে রেখেছিলেন, তাতে এ বিষয়টি সংশোধন করেছিলেন। ঐ সময় বান্দা হযরত শায়খের খেদমতে ছিলাম।