মুহাম্মাদ মুঈনুদ্দীন - রাহাত হুসাইন তাহফীযুল কুরআন মাদরাসা, মিরপুর-১৩, ঢাকা
Question
ক) আমরা কয়েকজন মিলে দ্বীনের প্রচারের উদ্দেশ্যে আলোর কাফেলা ইসলামী পাঠাগার নামে একটি ইসলামী পাঠাগার গড়ে তুলেছি। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো আমাদের প্রতিষ্ঠানেরও একটি মূলনীতি প্রয়োজন। তাই জানতে চাই, এ বিষয়ে কোনো কিতাবের সাহায্য নিতে হবে কি? অন্যথায় স্বয়ং হুজুর একটি মূলনীতি বাতলে দিলে কৃতজ্ঞ হব।
খ) বিশ্বময় ইসলামের জাগরণ সৃষ্টিকারী সংগঠন ইখওয়ানুল মুসলিমীন প্রতিষ্ঠাতা শহীদ হাসানুল বান্না রাহ.-এর জীবনী জানতে চাই।
গ)দরসে ইবরত পুস্তকের লেখক মুফতী শফী রাহ. মুফতী আযম পাকিস্তান এর জীবনী সম্পর্কিত কোনো কিতাব আছে কি? না থাকলে তাঁর জীবনী জানতে চাই।
Answer
ক) আপনি আল্লাহর রহমতে সবেমাত্র হিফয করছেন। এই সময়ে এত ব্যাপক চিন্তাধারা আপনার লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশ করবে বলে আশঙ্কা হয়। খুব বেশি হলে আপনি দূর থেকে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারেন। কিন্তু সক্রিয়ভাবে জড়িত হয়ে সংবিধান ও মূলনীতি প্রণয়ন, পাঠাগার পরিচালনা ইত্যাদি কাজে সংশ্লিষ্ট হলে আপনার তালেবে ইলমী যিন্দেগীর মাকসাদ অর্জনে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। অতএব প্রথমে অর্জনের চিন্তা করুন, পরে বিতরণের। আল্লাহ আপনার সহায় হোন।
খ) শায়খ শহীদ হাসানুল বান্না রাহ. জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৩২৪ হিজরী মোতাবেক ১৯০৬ ঈসায়ী সনে মিসরের সীমান্তবর্তী আলেকজান্দ্রিয়া অঞ্চলে। কায়রোর দারুল উলূম মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। এরপর ইসমাঈলিয়া শহরে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। সেখানেই তিনি আলইখওয়ানের কার্যক্রম শুরু করেন। যখন তাঁর এই বিপ্লবী দাওয়াত নর-নারী সকলের মাঝে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করে এবং যুবকশ্রেণী সশস্ত্র প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত হতে থাকে তখন সরকার ভীত হয়ে তাদের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং বিপ্লবী নেতাদের জেলে বন্দী করে। প্রধান নেতা হাসান আলবান্নার উপর বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয় এবং তাকে নজরবন্দী করা হয়। এরই মাঝে একটি গুপ্ত হামলায় তিনি শাহাদাত বরণ করেন। এটি ছিল ১৩২৬ হিজরী মোতাবেক ১৯৪৯ ঈসায়ীর ঘটনা। শাহাদাতকালে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৪৩ বছর।
তার জীবনের উপর আহমদ আনাস হিযাজীর স্বতন্ত্র গ্রন্থ রয়েছে
روح وريحانة من حياة داع ودعوة
নামে।
গ) তাঁর জীবনী নিয়ে মাসিক আলবালাগ-এর আলবালাগ-মুফতীয়ে আযম নম্বর নামে বিশাল একটি সংখ্যা বের হয়েছে। তারই অংশবিশেষ হযরত মাওলানা মুফতী রফী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম-এর হায়াতে মুফতীয়ে আযম এবং হযরত মুাওলানা মুফতী তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম-এর মেরে ওয়ালেদ, মেরে শায়খ নামে দুটি গ্রন্থ ভিন্নভাবেও ছেপেছে। এগুলো পড়ে আপনি তাঁর কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে জনতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।