Jumadal Ula 1428 || June 2007

মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল মালেক - মুলাদী, বরিশাল

Question

অনেকদিন যাবত বিষয়টি নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছি। আলেমদের থেকে বিভিন্ন রকম উক্তি শুনেছি। কিন্তু নির্ভরযোগ্য দলিলভিত্তিক কোনো ফয়সালা পাচ্ছি না, তাই আমাদের প্রাণপ্রিয় পথ নির্দেশক হযরত মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব দা. বা.-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আল কাউসার  সমীপে জানার আগ্রহ জাগল। আশা রাখি সঠিক পথ দেখিয়ে আমাদেরকে ধন্য করবেন। বিষয়টি এই যে, আমাদের দেশে তাযকিয়ার যে পন্থা প্রচলিত রয়েছে অর্থাৎ মানুষ পীর সাহেবের হাতে বায়আত গ্রহণ করে। অতঃপর পীর সাহেব তাঁর অনেক মুরীদকে খেলাফত দেন। তারাও আবার পীর হন। এরপর পীর সাহেব মারা গেলে তার উত্তরসূরীদের থেকে আবার একজন পীর হয়ে তার স্থান পূরণ করেন। এভাবে সিলসিলা চলতে থাকে। শরীয়তে এর কোনো ভিত্তি আছে কিনা? খলীফাতুল মুসলিমীন-এর হাতে বায়আত গ্রহণ করা ব্যতীত ব্যক্তি পর্যায়ে বায়আত গ্রহণ করার কোনো ভিত্তি সাহাবায় কেরাম, তাবেইন, তাবে তাবেইনদের থেকে আছে কিনা? না থাকলে কার থেকে এর সূচনা হয় এবং শরীয়তে এর বিধান কি? তাযকিয়ার যে প্রচলিত ধারাগুলো আছে যথা ১. কাদেরিয়া ২. চিশতিয়া ৩. নকশবন্দিয়া ৪. মুজাদ্দেদিয়া এগুলোর উৎস কোথা থেকে এবং এর হুকুম কী? দলিল প্রমাণভিত্তিক জানালে উপকৃত হব।

Answer

মারকাযুদ দাওয়ার দারুত তাসনীফ থেকে প্রস্তুতকৃত এবং মাকতাবাতুল আশরাফ (১১/১ বাংলাবাজার, ইসলামী টাওয়ার) থেকে প্রকাশিত তাসাওউফ তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ কিতাবটি সম্ভবত আপনার কাছে এখনো পৌঁছেনি। এতে দুটি রিসালা রয়েছে। প্রথমটি মুফতী মাহমুদ আশরাফ উসমানী রচিত এবং দ্বিতীয়টি আমার লেখা। আমার ধারণা, আপনি যদি রিসালা দুটি মনোযোগের সঙ্গে পড়েন তাহলে আপনার প্রশ্নগুলোর মৌলিক জওয়াব পেয়ে যাবেন। এরপরও কোনো কথা জানার থাকলে অবশ্যই লিখবেন।

Read more advices provided in this issue