Rabiul Akhir 1428 || May 2007

ইবনে মফীজ (তাকমীল) - দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম,  হাটহাজারী, চট্টগ্রাম

Question

হুজুর, আমি তাকমীল জামাতের ছাত্র। আরবী শরাহ দেখার অভ্যাস করেছি আরও দুই বছর আগে। কিন্তু আমি এখনও কঠিন জায়গাগুলো আরবী শরাহ-এর মাধ্যমে হল করতে পারি না। তবে কোনো উর্দু বা বাংলা শরাহ দেখে কঠিন জায়গাটা হল করে আরবী শরাহ দেখলে ভালো বুঝে আসে।

আমার প্রশ্ন হল, আমি যদি কঠিন জায়গাগুলো উর্দু বা বাংলা শরাহ দেখে হল করি, তারপর আরবী শরাহটা হল করে নেই এবং বিষয়টা বাংলা ভাষায় ভালোভাবে বুঝার জন্য নিয়মিত কোনো বাংলা শরাহ দেখি তাহলে কি আমার কাঙ্খিত যোগ্যতা অর্জিত হবে? নাকি উর্দু ও বাংলা শরাহ দেখা বন্ধ করতে হবে?

আমাদের বুখারী শরীফের কোনো শরাহ সবচেয়ে ভালো হবে, ফাতহুল বারী না ফয়যুল বারী। তাকমীল জামাতের কোন কিতাবের জন্য কোন শরাহ আমাদের উপযোগী হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন। আপনার পরামর্শ ও দুআ প্রত্যাশী।

Answer

উর্দু শরাহ-এর ব্যাপারে আপনি যা জানতে চান তার জন্য গত সংখ্যার (এপ্রিল ০৭) তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর দেখে নিন। হাদীসের ভাষ্যগ্রন্থ সম্বন্ধে আমি আলকাউসার-এর বিগত রবিউল আউয়াল ১৪২৬ হি. (এপ্রিল ০৫), শাবান ১৪২৬ হি. (সেপ্টেম্বর ০৫), যিলহজ্ব ১৪২৬ হি. (জানুয়ারি ০৬) সংখ্যাগুলোতে কিছুটা বিশদভাবে লিখেছি। অনুগ্রহপূর্বক আপনি সেই সংখ্যাগুলো দেখুন। এরপরও কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই লিখবেন।

ফাতহুল বারী সহীহ বুখারীর একটি সমৃদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য ভাষ্যগ্রন্থ। ফয়যুল বারী শরাহ নয়, আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী রাহ. (১২৯৪ হি.-১৩৫২ হি.) এর দরসী তাকরীর। যা মাওলানা বদরে আলম মিরাঠী (মৃত্যু : ১৩৮২ হি.) আরবী ভাষায় সংকলিত করেন। এ দুটি কিতাবের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, একটি দ্বারা অপরটির প্রয়োজন শেষ হয় না। এজন্য আপনি সাধ্যমতো উভয় গ্রন্থই অধ্যয়নে রাখুন। এখন যদি আদ্যোপান্ত পড়া সম্ভব না-ও হয় অসুবিধা নেই। পরবর্তীতে পড়া যাবে।

Read more advices provided in this issue