নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক - ঢাকা
Question
আরবী ভাষার কামুসগুলোর মধ্যে কোন্ কামুসের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু? কোন্ কামুসের কী বৈশিষ্ট্য, কোন্ নুসখাগুলো ভালো? বিস্তারিতভাবে জানালে উপকৃত হব।র
Answer
আরবী ভাষার মৌলিক ও নির্ভরযোগ্য অভিধানসমূহের নাম ও পরিচয় এবং সেসবের মারাতিব জানার জন্য নিম্নোক্ত কিতাবসমূহ দেখতে পারেন।
-১مقدمة تهذيب اللغة، للأزهري مع مقدمة التحقيق لعبد السلام هارون.
-২ مقدمة مقاييس اللغة، لابن فارس مع مقدمة التحقيق لعبد السلام هارون.
-৩ مقدمة لسان العرب، لابن منظور.
-৪ مقدمة تاج العروس، للزبيدي.
-৫ المزهر في علوم اللغة وأنواعها، للسيوطي (النوع الأول: معرفة الصحيح، النوع الرابع والأربعون: معرفة الطبقات والثقات والضعفاء)
-৬ مقدمة النهاية في غريب الحديث، لابن الأثير.
-৭ مقدمة الباحث أحمد عبد الغفور عطار، للصحاح، للجوهري.
-৮ تاريخ الأدب العربي، لأحمد حسن الزيات ص ৩৭৫-৩৭০
আরবী লুগাতের মৌলিক ও প্রামাণ্য উৎসগ্রন্থ কেবল সেগুলোই, যেগুলো মুতাকাদ্দিমীন আইম্মায়ে লুগাহ কর্তৃক রচিত, যা আপনি উপরোক্ত কিতাবসমূহ পড়লে বুঝতে পারবেন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আরবী অভিধান হল সেগুলো, যা পরবর্তী উলামায়ে লুগাহ কর্তৃক রচিত, যেমন العباب- تكملة العباب- القاموس- لسان العرب এসব কোনো মৌলিক অভিধান নয়; বরং এতে পূর্ববর্তী উৎস-গ্রন্থসমূহকে নতুন আঙ্গিকে একত্রে সংকলন করা হয়েছে কিংবা কোনো কোনোটা পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহের নতুন তারতীব ও বিন্যাস বা খোলাসা ও সারসংক্ষেপ।
তৃতীয় পর্যায়ের আরবী অভিধান হল আধুনিক যুগে রচিত অভিধানসমূহ। যেমন- محيط المحيط- أقرب الموارد- المنجد- المعجم الوسيط ইত্যাদি। আধুনিক অভিধানগুলোর মধ্যে المعجم الوسيط বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ এটি মিসরের আরবী ভাষা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে সমসাময়িক কয়েকজন আরবী ভাষার বিশেষজ্ঞ আলেম কর্তৃক রচিত এবং এতে কুরআন ও হাদীসের নুসূস থেকে শব্দের ব্যবহার দেখানো হয়েছে।
তবে মনে রাখতে হবে, কোনো আরবী শব্দের কোনো অর্থ প্রমাণের ক্ষেত্রে কেবল মুতাকাদ্দিমীন ‘আইম্মায়ে লুগাহ’-এর বক্তব্য হুজ্জত; পরবর্তী কারো বক্তব্য স্বতন্ত্র কোনো হুজ্জত নয়।
এ বিষয়ে একটি শিক্ষণীয় ঘটনা মনে পড়ছে। হাফেজ ইবনু হাজার রাহ. ‘ফাতহুল বারী’তে এক স্থানে ‘আলকামূসের’ উদ্ধৃতিতে কোনো একটি শব্দের তাহকীক নকল করেন। আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রাহ. ‘উমদাতুল কারী’ (৩/৯১) গ্রন্থে তাঁর সেই তাহকীকের নক্দ করেন এভাবে-
قلت: هذا يحتاج إلى نسبته إلى أحد من أئمة اللغة المعتمد عليهم.
শায়েখ আব্দুল হাই আলকাত্তানী রাহ. ‘ফিহরিসুল ফাহারিস’ গ্রন্থে বদরুদ্দীন আইনীর উক্ত মন্তব্য উল্লেখ করার পর বলেন-
فطبقه على حال من يحتج اليوم بكلام "المنجد " و "أقرب الموارد" كأنه وحي يوحى، مع أن قرب الفيروزآبادي من العيني كقرب هؤلاء منا أو أكثر، فانا لله من ضعف العلم و قلة المتمكنين فيه. انتهى من فهرس الفهارس ৯১০-৯০৯/২