Rabiul Akhir 1431 || April 2010

মুহাম্মাদ মুঈনুদ্দীন - রাহাত হোসাইন তাহফিযুল কুরআন মাদরাসা, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

Question

আমি হিফয বিভাগের একজন ছাত্র। শুনেছি আল্লাহ তাআলা কুরআন মজীদকে সহজ করে দিয়েছেন। সূরা কামারে একাধিকবার আল্লাহ তাআলা তা ইরশাদ করেছেন। অথচ কুরআন মজীদ ইয়াদ করলেও তা স্মরণে থাকে না। আমরা আরো শুনেছি, কুরআন মজীদ ইয়াদ করে ভুলে গেলে পরকালে কঠিন আযাব হয়। তাই কুরআন মজীদ ইয়াদ করার পদ্ধতি কী? আর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তা কীভাবে ইয়াদ রাখা যায়- এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দিবেন।

Answer

আপনি ভয় পাচ্ছেন কেন। হিম্মত রাখুন এবং মেহনত করুন। প্রতি বছর হাজার হাজার তালিবে ইলম কুরআন হেফয করছে আর আলহামদুলিল্লাহ ছোটখাটো কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সবাই তা ইয়াদও রাখছে। সাময়িকভাবে কোনো আয়াত হেফয থেকে ছুটে গেলে সামান্য দেখেই তারা আবার তা ইয়াদ করে ফেলছেন। সহজ বলেই তো যুগ যুগ ধরে অসংখ্য মুসলমান কালামুল্লাহ হেফয করতে পেরেছেন। এখনও করে চলেছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। পৃথিবীর অন্য কোনো গ্রন্থের বেলায় এর নজীর নেই। মনে রাখবেন, তিনি সহজ করে না দিলে যত মেধাই হোক এই মহান কালামুল্লাহ কোনো মাখলুকের পক্ষে পড়া, হিফয করা ও বুঝা সম্ভব ছিল না। এই যে, আপনি কালামুল্লাহ তিলাওয়াত করতে পারছেন, সামান্য সামান্য হলেও ইয়াদ করতে পারছেন তাতো তাঁর বিশেষ ফযল ও করমে সহজ করে দেওয়ার বদৌলতেই সম্ভব হচ্ছে। আর নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত অব্যাহত রাখা ও কুরআনের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক রাখা সত্ত্বেও ইয়াদ না থাকলে মাওলা তো গাফুরুর রাহীম। তিনিই অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির উপর ক্ষমার চাদর ঢেলে দেবেন বলে আশা করা যায়। এরপরও আমার পরামর্শ হল, আপনার হিফযের উস্তাদের কাছে নিজের পুরো অবস্থা খুলে বলুন। তিনি আপনার মেধা ও স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে সম্যক অবগত বলে সুন্দর একটি পরামর্শ দিতে পারবেন। আল্লাহ তাআলা আপনার যেহেন খুলে দিন এবং চিন্তামুক্ত হয়ে তাঁর মহান কালাম হিফয করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

Read more advices provided in this issue