Shawal 1437 || July 2016

মুরশিদুল আলম - তারাগঞ্জ, রংপুর

Question

আমি শিক্ষা পরামর্শবিভাগের একজন নিয়মিত পাঠক। আমি এই বিভাগের প্রশ্ন-উত্তরগুলো পাঠ করে ছাত্রজীবনের অনেক সমস্যার সমাধান খুঁজে পাই। তাই আমি আপনাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। তবে আপনাদের কাছে আমার একটি বিশেষ অনুরোধ, এই বিভাগের পাতা আরও বৃদ্ধি করা হোক।

এই পত্রে আমি আপনাদের কাছে দুটি প্রশ্ন রাখলাম। দয়া করে প্রশ্ন দুটির উত্তর দিয়ে আমাকে চিন্তামুক্ত করবেন।

(ক) আমি যেহেতু একজন কওমী মাদরাসার ছাত্র সেহেতু আমার অন্তরে উর্দূ ভাষা সম্পর্কে একটি প্রশ্ন উদয় হয় যে, কওমী মসাদরাসার দরসে উর্দূ ভাষার প্রতি এত গুরুত্বারোপ কেন, যেমনটি বাংলা ভাষার প্রতি নেই। তবে ঢাকা ও ঢাকা প্রতিবেশী জেলাগুলির কওমী মাদরাসাগুলোতে বাংলা ভাষার প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমার জানার বিষয় হল, উর্দূ ভাষার প্রতি কওমী মাদরাসাগুলোতে এত আসক্তি কেন?

(খ) অনেকেই তাবলীগ জামাতের বিরোধিতা করে বলে যে, তারা তরবারির জিহাদ করে না শুধু নফসের জিহাদ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরবারির জিহাদও করেছেন এবং তার প্রতি উম্মতকে উৎসাহ দিয়েছেন। এখন আমি আপনাদের কাছে উক্ত প্রশ্নের জবাব চাই। দয়া করে উত্তর জানিয়ে আমাকে বাধিত করবেন।


Answer

(ক) মেরে ভাই! উর্দূ ভাষায় তো অনেক দিন ধরে দ্বীনী কিতাবাদির এক বিশাল ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে। কুরআনে কারীমের তরজমা ও তাফসীরহাদীসের তরজমা ও তাশরীহ,ফিকহ ও ফতোয়াসীরাত ও তারীখমালফুজাতমাকতুবাতখুতুবাতবিভিন্ন ইলম ও ফনের বুনিয়াদি কিছু কিতাব এবং দ্বীনী রাসায়েলের এক বিশাল ভাণ্ডার। এসব রচনাবলী এই উপমহাদেশের মুসলমানদের মৌরুসী সম্পদ। এসব থেকে উপকৃত হতে হলে উর্দূ ভাষা জানার প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে এদেশের আহলে ইলমগণ উর্দূ ভাষা থেকে বে-নিয়ায হতে পারেন না। এই হচ্ছে উর্দূ ভাষার প্রতি তাঁদের অনুরাগের কারণ।

বলার অপেক্ষা রাখে নাবাংলা আমাদের মাতৃভাষাএ ভাষায় আমরা দৈনন্দিন কথা বলি। এদেশের মানুষের মাঝে দাওয়াতের কাজ করতে হলে বাংলা ভাষায় করতে হবে। এদেশের মানুষের জন্য কুরআনে কারীমের তরজমা ও তাফসীরহাদীসের ব্যাখ্যা এবং দ্বীনী বই-পুস্তক বাংলা ভাষাতেই রচনা করতে হবে। সুতরাং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চার প্রতি অবহেলা অবাঞ্ছনীয়। তবে ছাত্রদের জন্য তা হতে হবে উস্তাযের তত্ত্বাবধানে এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায়।

(খ) মেরে দোস্ত! শুধু তাবলীগ জামাতের উপর আপত্তি কেনদ্বীনী খেদমতের নানা অঙ্গনে কর্মরত সকলেই কি শরয়ী জিহাদ আঞ্জাম দিচ্ছেনএছাড়া শরয়ী জিহাদের সকল শর্ত ও ক্ষেত্র পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান আছে কি না তা দেখার কি প্রয়োজন নেইআর তাবলীগ জামাতের তো এমন কোনো উসূল নেই যাতে বলা হায়েছে যেশরয়ী জিহাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে তাবলীগ জামাতের সাথে জড়িত কেউ কেউ যে জিহাদ বিষয়ক আয়াত ও হাদীসকে কোনোরূপ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ছাড়াই সরাসরি দাওয়াতের কাজের পক্ষে পেশ করে থাকেন তা গ্রহণযোগ্য নয়।

Read more advices provided in this issue