আবুল ফারাহ - মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
Question
ক : মুহতারাম! আমি দুই বছর আগে হেদায়াতুন্নাহু কিতাবটি পড়েছি। এখন দুই বছর পরে দেখছি, কিতাবটির অনেক কায়দাই আমার মনে নেই। সব কায়দা যাতে সহজেই মনে রাখতে পারি এজন্য আমি কী পদ্ধতি অনুসরণ করবো?
খ : একালে মানতেক শাস্ত্র পড়ার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এবং কী পরিমাণ পড়া যথেষ্ট? আর এ বিষয়ে নিজে নিজে মুতালাআ করতে চাইলে আমি আরবী ও উর্দূ ভাষায় সহজ কোন কিতাব পড়তে পারি? আল্লাহ তাআলা হযরতকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
Answer
(ক) : মুতালাআর একটি প্রকার হচ্ছে ইলম তাজা রাখার উদ্দেশ্যে মুতালাআ। তাই কোনো বিষয় দরসে পড়ার পরও সেই বিষয়ের বুনিয়াদি কাওয়ায়েদ ও মাসায়েল মনে রাখার জন্য ঐ বিষয়ের কোনো একটি মতনকে ইলমী যিন্দেগীর সঙ্গীরূপে সাথে রাখা প্রয়োজন হয়। তো আপনিও নাহবের কাওয়ায়েদ ও মাসায়েলের ইয়াদকে তাজা রাখার জন্য‘হেদায়াতুন্নাহু’ কিতাবটি মাঝেমধ্যে সুযোগ মতো মুতালাআ করে নিতে পারেন। পূর্ণ কিতাব কিংবা যে অংশটি আপনার ইয়াদ নেই অথবা যে অংশটি আপনার কাছে তুলনামূলক জটিল বলে মনে হয় সে অংশটি বারবার মুতালাআ করা। আর যখনই যে কায়দা বা মাসআলার ব্যাপারে সন্দেহ দেখা দেয় তখনই তা কিতাব খুলে দেখে নেয়া, কেবল ধারণার উপর নির্ভর না করা। এছাড়া আপনি যখন আরবী কিতাবাদি পড়বেন তখন তাতে নাহবের কায়দা-কানুন খুব যতœ সহকারে সঠিকভাবে প্রয়োগ করবেন। এভাবেই ইনশাআল্লাহ নাহবের ইলম তাজা থাকবে।
(খ) এ সম্পর্কে একাধিকবার শিক্ষার্থীর পাতায় লেখা হয়েছে। এজন্য আপনি ‘তালিবানে ইলম : পথ ও পাথেয়’ বইটি থেকে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নোত্তর পড়ে নিতে পারেন। দেখুন, এ যামানায় মানতেক শাস্ত্র সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা এবং এর কাওয়ায়েদ ও পরিভাষাসমূহ স্পষ্টভাবে বুঝে নেওয়াই যথেষ্ট। আর এর জন্য এ বিষয়ের কোনো একটি কিতাব মুতালাআও যথেষ্ট হতে পারে। এজন্য আপনি মুতালাআ করতে পারেন উর্দূ ভাষায় মাওলানা সাঈদ আহমদ পালনপুরী (দা. বা.)-কৃত আসান মানতিক, যা মূলত ‘তাইসীরুল মানতিক’-এর পরিমার্জিত সংস্করণ। আর আরবী ভাষায় ‘তালখীসুল মিরকাত’ যা হযরত থানবী রাহ. রচিত ‘আত্তালখীছাতুল আশ্র’ কিতাবের প্রথম রিসালা- সেটিও মুতালাআ করতে পারেন।