Zilhajj 1436 || October 2015

মো: শরিফুল ইসলাম - জামিল মাদরাসা, বগুড়া

Question

(ক) আমি জামাতে শরহে বেকায়াতে পড়ি। আমার শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আফসোস পরিতাপ আর কান্নায় কেটেছে, কাটছে এবং ভয় হচ্ছে যে সামনের দিনগুলোও এরকমই কাটবে।

আমার মাতা-পিতার বড় আশা যে, আমি বড় আলেম হব এবং আল্লাহ তাআলার খাছ ও নেকবান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হব। এবং আমারও তাই আশা ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যে, যখনই আমি কিতাব পড়ার জন্য টুলের সামনে বসি অথবা তাকরারের জন্য এবং দরসের জন্য; মোটকথা যখনই অমি পড়ার জন্য কিতাব খুলি চাই তা দরসী হোক আর গায়রে দরসী। তখন আমার মনটা অন্যান্য দুনিয়াবী চিন্তায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই অন্যান্য ফিকির থেকে আমি আমার মনকে পড়ার দিকে ফিরাতে পারি না এবং পড়তেও পারি না।

(খ) আমি শরহে বেকায়াতে পড়া সত্তে¡ও ইবারতে ইরাব দিতে পারি না এবং আরবীতে কোনো প্রবন্ধ লিখতে পারি না। আমি কুরআনের কোনো আয়াতের সুন্দর ও সহীহ-শুদ্ধ অনুবাদ করতে পারি না। তাই মাঝে মাঝে মনে হয়, পড়া-শুনা বাদ দিয়ে বাড়িতে চলে যাই এবং পিতা-মাতার খেদমত করি।

হুযুরের কাছে আমার আশা, আপনি আমাকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে আনন্দিত করবেন। এবং আমার জন্য বিশেষভাবে দুআ করবেন। আল্লাহ আপনাকে হায়াতে তায়্যিবাহ নসীব করুন এবং আপনার ইলমী খেদমতকে কবুল করুন। -আমীন


Answer

(ক) : আপনাকে এজন্য চিন্তা-ভাবনা কমানোর পন্থা অবলম্বন করতে হবে। এর সাধারণ কৌশল হল সকল অপ্রয়োজনীয় বিষয় থেকে দূরে থাকা এবং যথাসম্ভব নিজেকে ইলম ছাড়া অন্য কোনো ঝামেলা ও ব্যস্ততা থেকে মুক্ত রাখা। আর এর রুহানী চিকিৎসা হলঅন্তরকে আল্লাহর মহব্বতে পরপিূর্ণ করা এবং দিলের মধ্যে ইলমের মুহব্বত পয়দা করার চেষ্টা করা। দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা দূর করার জন্য মাছর কিছু দুআ অযীফা আকারে পাঠ করুন। সকাল-সন্ধ্যা নিম্নোক্ত মাছর দুআ পাঠ করুন-

 اللهم إِنيِّ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ والحُزْنِِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجزِ وَالكَسَلِ وَأعُوذُ بِكَ مِنَ الجُبْنِ والبُخْلِ وأَعُوذُ بِكَ مِنَ غَلَبةِ الدَّيْنِ وقَهْرِ الرجَال .

একাগ্রতার পথে সবচেয়ে ক্ষতিকর বিষয় গুনাহ। তাই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার এবং তওবা ইস্তেগফারের পাবন্দী করার চেষ্টা করুন। জামাতের মুত্তাকী ও মেহনতী সাথীর সংশ্রব গ্রহণ করুন।

(ঘ) ঘাবড়াবেন না। আল্লাহ তাআলা আপনার যেহেন খুলে দিন। মেহনত করতে থাকুন,ইনশাআল্লাহ কামিয়াব হবেন। আপনি অবশ্যই কোনো মুশফিক ও অভিজ্ঞ উস্তাযকে নিজের মুরুব্বী হিসেবে গ্রহণ করুন এবং তাঁকে কিছু সবক শুনিয়ে নির্ধারন করে নিন আপনার দুর্বলতা ঠিক কোন জায়গায় এরপর সেই দুর্বলতা দূর করতে চেষ্টা করুন। তাহলে মেহনতটা ফলপ্রসূ হবে। 

Read more advices provided in this issue