আলমাহমূদ - ঢাকা
Question
হযরত, একটি বিষয় ব্যক্তিগতভাবে জানার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু হয়তো আমার মতো অনেকের মনেই প্রশ্নটি রয়েছে তাই পত্রিকায় পাঠালাম। প্রশ্নটি হচ্ছে : বর্তমান সময়ের চাহিদানুযায়ী ইংরেজি ও ফার্সী ভাষার মধ্যে কোনটির গুরুত্ব বেশি? এবং শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকেও বর্তমানে দ্বীনের তাকাযানুসারে কোনটা কতটুকু গুরুত্ব রাখে? বুঝিয়ে লেখলে কৃতজ্ঞ হব।
এ বিষয়ে কিছু গোড়া লোক সমাজে রয়েছেন। তারা এ উক্তি করেন যে, ইংরেজি যারা শিখে এরা হচ্ছে দুনিয়ালোভী আর ফার্সি যে জানে না সে ‘হিজড়া’ আলেম। ... আশা করি আপনার কাছে এর সঠিক সমাধান পাব।
Answer
দাওয়াতী এবং তাহকীকী কাজের জন্য আলেমদের মধ্যে দুই ভাষারই মাহির থাকা দরকার। কিছু এই ভাষার মাহির আর কিছু ওই ভাষার। এখন কাদেরকে এই কাজের জন্য নির্বাচন করা হবে এবং কাকে কোন ভাষা শেখার জন্য লাগানো হবে তা ফয়সালা হয়তো উলামায়ে কেরামের ‘আহলুল হাললি ওয়াল আকদ’ করবেন কিংবা তা’লীমী মুরববী। এ বিষয়ে তালিবে ইলমের স্বাধীন হওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। কেননা, অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে তারা না পরিণামদর্শী হয়ে থাকে, না দূরদর্শী। আর না সকল অবস্থা সামনে রেখে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার যোগ্যতা তাদের মধ্যে থাকে।
এরপর আরো দু’টি কথা মনে রাখুন। প্রথম কথা এই যে, সময়ের পূর্বে নিজেকে কোনো মত পোষণ করা বা মতপ্রকাশ করার যোগ্য কখনও মনে করবেন না। বিশেষত নিসাব-নিযামের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে মতামত দেওয়া তো খুবই অসমীচীন। নিজ গন্ডির বাইরের বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টদের জন্য ছেড়ে দিন। বলাবাহুল্য যে, এই নীতি من حسن إسلام المرء تركه ما لا يعنيه এর অন্তর্ভুক্ত।
দ্বিতীয় কথা এই যে, আবেগনির্ভর কথাবার্তার সুন্দর জওয়াব হল নিশ্চুপ থাকা। উল্টা এমন আবেগী কথাবার্তা বলা, যা ছাপারও অযোগ্য, মোটেই উচিত নয়। আসাতিযায়ে কেরামের নিকট থেকে ইলমের সঙ্গে সঙ্গে ‘হিলম’ ও ‘আকল’ও অর্জন করা উচিত।