Safar 1430 || February 2009

মুহাম্মাদ সাঈদুর রহমান - জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মুহাম্মদপুর, ঢাকা

Question

এ বছর আমি হেদায়া কিতাবটি অধ্যয়ন করছি। আমার সবচেয়ে বড় ভুল হল, আমি আরবী শরাহ মুতালাআয় অভ্যস্ত নই। নতুন বছর নতুন কিতাব যখন হাতে এল তখন বাধ্য হয়েই আরবী শরাহ আমাকে হাতে নিতে হল। আর এ বিষয়ে প্রেরণা পেয়েছি আলকাউসারের গত সংখ্যায় প্রকাশিত আপনার গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি থেকে। (আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।) এবং তখনই হেদায়ার শরাহ ফাতহুল কাদীর আমি সংগ্রহ করি। কিন্তু এ কিতাবটি মুতালাআহ করতে বসলে সবকিছু আমার কাছে অন্ধকার মনে হয়। মাসআলা বোঝা তো দূরের কথা, অর্থই স্পষ্টভাবে বুঝে আসে না। তাই জনাবের কাছে বিনীত নিবেদন এই যে, কীভাবে মুতালাআ করলে আমি এই কিতাব থেকে উপকৃত হতে পারি। এ ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিলে কৃতজ্ঞ হব।

 

 


Answer

আল্লাহ তাআলা আপনাকে সাহায্য করুন। আপনি প্রতিদিন কিছু সময় কিতাবী ইসতিদাদ তৈরি করার জন্য ব্যয় করুন। এটা আধা ঘন্টাও হতে পারে। আতত্বরীক ইলাল আরাবিয়্যাহ এবংআততামরীনুল কিতাবী আলাত ত্বরীক ইলাল আরাবিয়্যাহ থেকে সাহায্য নিতে পারেন। আপনার তালীমী মুরববীর নিকট থেকে অবশ্যই মশোয়ারা গ্রহণ করুন এবং তাঁর কাছ থেকে অনুশীলনের পদ্ধতি জেনে নিন। সঙ্গে সঙ্গে ফাতহুল কাদীর-এর অধ্যয়নও জারি রাখুন। এ প্রসঙ্গে তিনটি কথা মনে রাখলে ভালো হবে :

১. এটা অপরিহার্য নয় যে, প্রতিদিনের পূর্ণ সবক আপনি ফাতহুল কাদীর থেকে পড়বেন; বরং প্রতিদিন সাত-আট লাইন কিংবা চার-পাঁচ লাইনও যদি হল করতে পারেন তাই যথেষ্ট। এরপর ধীরে ধীরে গতি বাড়তে থাকবে।

২. প্রথমে মনোযোগ দিয়ে হিদায়ার মতন টুকু পড়ুন। হাশিয়ার সাহায্য নিন। ফাতহুল কাদীরের সঙ্গে আলইনায়াও মুদ্রিত রয়েছে। সেটা আগে মুতালাআ করুন। এরপর ফাতহুল কাদীর মুতালাআ করুন। অথবা ওই আলোচনাটা প্রথমে আলবিনায়া থেকে এরপর ফাতহুল কাদীরথেকে পড়ুন।

৩. এভাবে মেহনত করার পরও যে বহছ বোধগম্য হবে না তা রেখে সামনে চলে যান। এরপর যখন কিতাবের আলোচনার সঙ্গে পরিচিত হয়ে যাবেন এবং কিতাবী ইসতিদাদও বাড়বে তখন রেখে আসা বহছগুলো পুনরায় পড়া যাবে।

Read more advices provided in this issue