Jumadal Ula 1436 || March 2015

শাহাদাত হুসাইন - মুন্সিগঞ্জ

Question

হুযুর, গত কোনো এক সংখ্যায় সিয়ারু আলামিন নুবালা থেকে তরজমা বের করতে তবাকা-এর সাহায্য নিতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে যেন ফাহারিস এর আশ্রয় না নেওয়া হয় সে কথাও বলা হয়েছে। জানার বিষয় হল, তবাকা হিসাবে তরজমা বের করার পদ্ধতি কী? জানালে খুশি হব।

 

Answer

আলকাউসারের ঐ সংখ্যায় তবাকা-এই পরিভাষাটির অর্থ লেখা হয়েছেসমকালীন ব্যক্তিবর্গ যাদের মাঝে মিল রয়েছে বয়সের এবং সমকালীন মাশায়েখদের শিষ্যত্ব গ্রহণে। সুতরাং সিয়ারু আলামিন নুবালা থেকে তবাকা হিসেবে জীবনী বের করার জন্য প্রয়োজন হবে উদ্দীষ্ট ব্যক্তি কোন যামানার বা কোন প্রজন্মের সে-সম্পর্কে ধারণা থাকা। এরপরসিয়ারু আলামিন নুবালা গ্রন্থের কোথায় কোনো যামানার ও প্রজন্মের লোকদের জীবনী লিপিবদ্ধ হয়েছে তা জানতে হবে। যেমন এতে প্রথমে সাহাবায়ে কেরামের জীবনী সন্নিবেশিত হয়েছে। এরপর তাবিয়ীনের জীবনী লিপিবদ্ধ হয়েছে। এতে তাবিয়ীদেরকে জন্মমৃত্যু এবং ইলম অর্জনের সময় ইত্যাদির ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী ও পরবর্তী হওয়া- এই বিবেচনায় ছয় তবাকায় বিভক্ত করা হয়েছে। এরপর আতবাউত তাবিয়ীন এবং তাঁদের শাগরিদ ও শাগরিদদের শাগরিদ- এভাবে ধারা পরম্পরায় হাফেয যাহাবী রাহ.-এর মাশায়েখ ও আসাতিযার তবাকা পর্যন্ত লিপিবদ্ধ হয়েছে।

এখন এই তবাকাগুলোর বিন্যাস এবং কোন খণ্ডে কোন তবাকার জীবনী লিপিবদ্ধ হয়েছে তা জানার জন্য সরাসরি কিতাবের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। কোন তবাকা কিতাবের কোথায় শুরু হয়েছে আর কোথায় শেষ হয়েছে তা আপনি পুরো কিতাবের উপর ইজমালীভাবে নযর বুলিয়েও জানতে পারেন। এক্ষেত্রে তবাকাভিত্তিক যে ফিহরিস রয়েছে সেটা থেকেও প্রাথমিকভাবে সহযোগিতা নিতে পারেন। প্রথমে একটু কঠিন মনে হলেও কিতাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে এবং অভ্যস্ত হয়ে উঠলে সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

Read more advices provided in this issue