রফিউদ্দীন রাফী - চাটখিল, নোয়াখালি
Question
আমি ফযীলত জামাতের ছাত্র। আল্লাহর রহমতে মিশকাত শরীফ পড়ছি। আমার জানার বিষয় হল, হাদীসের কোনো বর্ণনায়-
عن سعيد بن زيد رضي الله عنه قال : কোনো কোনো বর্ণনায়-
عن ابن عباس رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم :
আবার কোনো বর্ণনায়
عن عبد الله بن زيد رضي الله عنه أنه رأى النبي صلى الله عليه وسلم :
দেখতে পাই। তাছাড়া যে সকল হাদীসে সাহাবীর নামের পর أنه বা أنها শব্দ নেই সেখানেও কোনো কোনো
উস্তাদ أنه বা أنها শব্দ যোগ করে হাদীস পাঠ করেন। এর উদ্দেশ্য ও উক্ত বর্ণনাসমূহের মতনের ভিন্নতা সম্পর্কে জানতে চাই। আর হাদীস শরীফের রেওয়ায়েত পাঠের সঠিক নিয়ম ও এ বিষয়ে বিশেষ হেদায়েত দানের আবেদন করছি।
আমার জানা দুআসমূহের মধ্যে সবচেয়ে পছন্দনীয় দুআটি আপনার ও দ্বীনের সকল কর্মতৎপর ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে করছি। আল্লাহ তাআলা দ্বীনের যে কাজ আপনার আপনাদের দ্বারা করতে পছন্দ করেন সে কাজের পূর্ণ তাওফীক দান করুন এবং গায়েবী খাযানা থেকে আপনাদের অন্তরের সকল নেক মাকসাদ পূরণের সর্বপ্রকার ব্যবস্থা করে দিন। আর আপনাদের সকল নেক দুআয় আমাকে শরিক করে দিন।
Answer
আপনি ‘মিশকাতুল মাসাবীহ’ পড়ছেন। তাহলে তো ইনশাআল্লাহ যেকোনো আরবী কিতাব থেকে উপকৃত হওয়া আপনার জন্য সহজ হয়ে থাকবে। আপনার প্রশ্নের বিস্তারিত ও পূর্ণ উত্তর আপনি‘মুকাদ্দামাহ ইবনুস সালাহ’য় পেয়ে যাবেন। এ কিতাবের ২৪ থেকে ২৮ নম্বর অধ্যায় পর্যন্ত বিষয়গুলোর আলোচনা পাঠ করুন। ইনশাআল্লাহ এখানে এ জাতীয় সব প্রশ্নের সমাধান আপনি পাবেন।আরো কিছু জরুরি আলোচনা নববী রাহ.-এর ‘শরহে সহীহ মুসলিমে’র ভূমিকা ও সহীহ বুখারীর শুরুতে মাওলানা আহমাদ আলী সাহারানপুরী রাহ.-এর লেখা ভূমিকাতেও পাবেন।
মুকাদ্দামা ইবনুস সালাহর পরিবর্তে উপরোক্ত বিষয়সমূহের আলোচনা সুয়ূতী রাহ.-এর ‘তাদরীবুর রাবী’ থেকেও মুতালাআ করতে পারেন।
মত্নে হাদীস পাঠ করার বিষয়ে মৌলিক কথা এই যে, বিশুদ্ধভাবে পাঠ করতে হবে এবং এত দ্রুত না পড়া চাই, যার দ্বারা শ্রোতাদের বুঝতে অসুবিধা হয় কিংবা পাঠকারীর অন্তরে মহববত ওআযমতের কমি আছে বলে মনে হয়। বিস্তারিত জানার জন্য সুনানে দারেমীর ‘কিতাবুল ইলম’, জামালুদ্দীন কাসেমী রাহ.-এর ‘কাওয়াইদুত তাহদীস’ ও ড. খালেদ মাহমুদ-এর ‘আছারুল হাদীস’মুতালাআ করতে পারেন।
আল্লাহ তাআলা আপনার নেক দুআ কবুল করুন এবং দুনিয়া ও আখিরাতে এর যথাযথ মর্যাদা ও বিনিময় দান করুন। আমীন।