মানযুর হাসান - ছায়া বিতান, কুমিল্লা

Question

মুহতারাম! দীর্ঘদিন ধরে আমি একটি পেরেশানীতে ভুগছি। সেটি হল, الحديث و علومه -এর সাথে সংশ্লিষ্ট ফনের কিতাবের তাআররুফ তো আমরা الوجيز في تعريف كتب الحديث و الرسالة المستطرفة، المدخل বা এজাতীয় কিতাব থেকে জানতে পারি। এ ছাড়া এখন তো উলূমুল হাদীসের অধিকাংশ কিতাবের শেষে المصادر و المراجع থেকেও অনেক কিতাবের তাআররুফ জানা যায়। এখন আমার জানার বিষয় হল, নিচের ফনগুলোর تعرف  على الكتب -এর জন্য الرسالة المستطرفة-এর তরযে কোনো কিতাব লেখা হয়েছে কি না? (كشف الظنون বা এজাতীয় কিতাব থেকে যদিও এ বিষয়ে অনেক কিছুই জানতে পারি, কিন্তু তা তো ছড়ানো-ছিটানো।)

১. الفقه الإسلامي و أصوله))  যেমন চার মাযহাবের ফিকহ তাদবীনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, প্রতি মাযহাবের মূল মতন ও উসূলের কিতাব কয়টি এবং এগুলোর উপর কী কী কাজ হয়েছে?

২. (تفسير القرآن مع علومه) খাইরুল কুরূন থেকে এ পর্যন্ত কী কী তাফসীর  লেখা হয়েছে, কোন তাফসীরের মান কেমন, উসূলুত তাফসীরের উপর কে কে খেদমত করেছেন, তবাকাতুল মুফাসসিরীন জানার জন্য কোন কিতাব পড়ব?

৩. (نحو/صرف/لغة/بلاغة) এ চার ফনে কে কে কোন কিতাবের মাধ্যমে খেদমত করেছেন, কোনটি أصل কোনটি فرع- (بيغة الوعاة)  থেকে অনেকটাই জানতে পারি। কিন্তু একটু ভিন্ন তরযে চাচ্ছিলাম।

মুহতারাম! আশা করি বিরক্ত হবেন না। বুঝতে পারছি এতে আপনার অনেক সময় যাবে। কিন্তু এটাও সত্য এ উত্তর পেয়ে অনেকে কৃতজ্ঞ থাকবে। বেশ কিছুদিন এ বিষয়ে পেরেশানীতে ছিলাম। ভাবলাম হুযুরের কাছে লিখি, উত্তম কোনো দিক-নির্দেশনা পেয়ে যাবো।

আল্লাহ আপনার সকল স্বপ্ন বাস্তবায়ন করুন এ দুআ করি।

 

 


Answer

আররিসালাতুল মুস্তাতরাফাহ’ কিতাবে হাদীস ও উলূমুল হাদীসের বিভিন্ন ফন ও শাখা-প্রশাখার সংক্ষিপ্ত পরিচয় এবং সংশ্লিষ্ট কিতাবাদীর পরিচয় সুবিন্যস্ত আকারে সন্নিবেশিত হয়েছে। সুতরাং এটি হাদীস ও ফন্নে হাদীসের উৎসগ্রন্থসমূহের বিশেষায়িতমুখতাসার এবং জামে একটি গ্রন্থপঞ্জি। উলূমুল ফিকহউলূমুল কুরআন এবং উলূমুল লুগাহ বিষয়েও এ ধরনের বিশেষায়িত গ্র্রন্থপঞ্জি প্রয়োজন। কিন্তু এ সকল বিষয়ে আমার জানামতে এ ধরনের কোনো বিশেষায়িত ও জামে গ্রন্থপঞ্জি এখনো তৈরি হয়নি। তবে কিতাবাদির পরিচিতি বিষয়ে আধুনিককালে রচিত আরবী বিবিলিওগ্রাফি বা গ্রন্থপঞ্জিসমূহের মধ্যে জার্মান প্রাচ্যবিদ কার্ল ব্রæকলম্যান রচিত তারিখুল আদাবিল আরাবি’ এবং তুর্কী আলেম ড. ফুয়াদ সিযকীন-এর তারিখুত তুরাসিল আরাবি’ থেকে ইস্তেফাদা করা যায়। এগুলোতে উলٍম ও ফুনুনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং যামানা ও ফনভিত্তিক সংশ্লিষ্ট বিষয়ের  কিতাবাদীর আলোচনা স্থান পেয়েছে। কিন্তু এ দুটিতে বেশ কিছু স্থানে ভুল ও অসম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে। ঐসব ভুলত্রæটির সংশোধনের জন্য স্বতন্ত্র কিছু কিতাব ও রিসালা রচিত হয়েছে। সুতরাং তাহকীকী ধারণার জন্য অন্যান্য নির্ভরযোগ্য উৎসসমূহের সাহায্য নিতে হবে। সম্প্রতি বায়রুতের দারুল বাশায়িরিল ইসলামিয়্যাহ থেকে

 خزانة العلوم في تصنيف الفنون الإسلامية ومصادرها নামে একটি মুখতাসার কিতাব ছেপেছে। এটি মূলত শায়খুল ইসলাম যাকারিয়া আনসারী (মৃত্যু ৯২৫ হি)-এর

 اللؤلؤ النظيم في روم التعلم والتعليم -এর উপর ড. নযীর আহমদের শরাহ ও হাশিয়া। এ থেকে আপনি ফন-ভিত্তিক অনেক কিতাব ও মুসান্নিফের নাম জানতে পারবেন।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মুহাক্কিক আলেমদের সম্পাদিত কিতাবসমূহের শুরু বা শেষে সম্পাদক ও প্রকাশকের ভমিকা ও পরিশিষ্ট থেকেও এ বিষয়ক অনেক তথ্য লাভ করা যায়।

বিশেষ কিছু কিতাব :

ক. সংক্ষেপে সকল ফিকহী মাযহাবের ইতিহাস জানার জন্য শায়েখ আবু  যাহরাহ রাহ.-এর তারীখুল মাযাহিবিল ফিকহিয়্যাহ’ দেখা যেতে পারে। আর বিশেষভাবে ফিকহে হানাফীর ইতিহাস ও কিতাবাদীর পরিচিতির জন্যে নিম্নোক্ত কিতাবগুলো দেখা যেতে পারে-

১. النافع الكبير لمن يطالع الجامع الصغير، لعبد الحي اللكهنوي.

২. فقه أهل العراق وحديثهم للكوثري

৩.المذهب الحنفي (مراحله و طبقاته، ضوابطه و مصطلحاته، خصائصه و مؤلفاته) أحمد بن محمد نصير الدين النقيب

৪. مقدمة الدكتور محمد  بوينوكالن على كتاب الأصل للإمام محمد.

৫. دراسة على الجامع الصغير، للدكتور محمد بوينوكالن.

৬. دراسة عن اللباب ومختصر القدوري، للدكتور سائد بغداش.

ফিকহে শাফিয়ীর জন্য ইমামুল হারামাইনের  নিহায়াতুল মাতলাব’-এর শুরুতে মুহাক্কিকের মুকাদ্দিমা এবং ইমাম দামীরির আন নাজমুল ওহহাজ’-এর শুরতে মুহাক্কিকের মুকাদ্দিমা দেখা  যেতে পারে।  ফিকহে হাম্বলীর জন্য

مسائل أحمد بن حنبل وإسحاق بن راهوية

(রেওয়াতুল কাউসাজ)- এর শুরুতে মুহাক্কিকের মুকাদ্দিমা দেখা যেতে পারে।

 আর সংক্ষেপে একসাথে চার মাযহাবের ফিকহের বুনিয়াদী কিতাবসমূহের পরিচয় জানার জন্যে দেখা যেতে পারে ড. ইসমাইল সালেম রচিত মুখতাসার কিতাব-

البحث الفقهي (طبيعيته، خصائصه، أصوله، مصادره) مع المصطلحات الفقهية في المذاهب الأربعة

ফিকহে মালেকীর জন্য শায়েখ আবু আছেম বাশীর আলজাযায়েরী-এর مصادر الفقه المالكي দেখা যেতে পারেযা দারু ইবনে হাযম থেকে ছেপেছে। 

খ. (تفسير القرآن مع علومه) সব বিষয়ের আলোচনা তো একই কিতাবে পাওয়া যাবে না। ইলমুত তাফসীরের ক্রমবিকাশের ইতিহাস এবং তাফসীরের বিভিন্ন কিতাব সম্পর্কে পর্যালোচনার জন্য ড. মুহাম্মাদ হুসাইন আযযাহাবীর التفسير والمفسرون দেখা যেতে পারে। হযরত ইউসুফ বিন্নুরী বাকি রাহ.-এর ইয়াতিমাতুল বয়ান’ এবং মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দা. বা.-এর উলূমুল কুরআন-এ বিভিন্ন তাফসীর সম্পর্কে পর্যালোচনা পাওয়া যাবে।

এছাড়া উলূমুল কুরআনের বুনিয়াদী কিতাবসমূহের মধ্যে বদরুদ্দীন যারকাশী রাহ.-এর البرهان في علوم القرآن এবং জালালুদ্দীন সুয়ূতী রাহ.-এর الإتقان في علوم القرآن এই কিতাব দুটির প্রতিটি অধ্যায়ে উলূমুল কুরআনের বিভিন্ন ফন ও শাখা-প্রশাখার পরিচয় এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো কিতাব থাকলে তার আলোচনা স্থান পেয়েছে। সম্প্রতি

فهرست مصنفات تفسير القرآن الكريم  নামে তিন খণ্ডের কিতাব সৌদির মারকাযুদ দিরাসাতিল কুরআনিয়্যাহ থেকে ছেপেছেযা বর্ণনাক্রমে বিন্যস্ত একটি নির্ঘণ্ট।

আর তাবাকাতুল মুফাসসিরীন বিষয়ে তো এই নামেই জালালুদ্দীন সুয়ূতী রাহ.-এর সংক্ষিপ্ত কলেবরের একটি কিতাব রয়েছে।

গ. (علوم اللغة) জালালুদ্দীন সুয়ূতী রাহ. উলূমুল হাদীসের অনুকরণে উলূমুল লুগাহ বিষয়ে المزهر في علوم اللغة وأنواعها নামে কিতাব লিখেছেন। এতে ইলমুল লুগাহ-এর বিভিন্ন শাখা প্রশাখার পরিচয় এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কিতাবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং এ কিতাব থেকে আপনি ইলমুল লুগাতের অনেক কিতাব এবং আইম্মায়ে লুগাতের সংক্ষিপ্ত পরিচয় জানতে পারবেন। ড. শাওকী যায়ফ রচিত البلاغة تطور و تاريخ বালাগাতের ক্রম বিবর্তনের ইতিহাস সম্বলিত মূল্যবান গ্রন্থ। এই কিতাব থেকে আপনি আইম্মায়ে বালাগাত সম্পর্কে এবং বালাগাত বিষয়ক অনেক কিতাব সম্পর্কে জানতে পারবেন। ইমাম আবু মনসুর মুহাম্মদ আল আযহারী রাহ. (মৃ.৩৭০)তাহযীবুল লুগাহ’ গ্রন্থের মুকাদ্দিমায় কিতাবের মাসাদির এবং তাঁর যামানা পর্যন্ত আইম্মায়ে লুগাহ ও তাঁদের তাসনীফ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি বায়রুত থেকে তাহযীবুল লুগাহ-এর যে সংস্করণটি বের হয়েছে সেটির শুরুতে ড. আব্দুস সালাম হারুন এবং ড. ফাতেমা মুহাম্মদ আসলান এর মুকাদ্দিমা রয়েছে। এতে অনেকগুলো আরবী অভিধানের পরিচয় পেশ করা হয়েছে। আর মিসরের মাজাল্লাতু মুজাম্মায়িল লুগাতিল আরাবিয়া ৬০নং জিলদে আরবী অভিধান বিষয়ক একটি প্রবন্ধ রয়েছে। সেটিও দেখা যেতে পারে। 

Sharable Link

মুহাম্মাদ ইয়াসিন হামিদ - লক্ষীপুর

Question

মুহতারাম, আল্লাহ তাআলা আপনার বরকতময় ছায়াকে দীর্ঘায়িত করুন। আমি মাদরাসা দারুর রাশাদের ২য় বর্ষের একজন তালিবুল ইলম।

একটি বিষয় ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করছি।

* উসূলুশ্ শাশী কিতাবের মুসান্নিফ ইমামে আযমের নামের পর রাহ. না বলে রা. বললেন কেন?

* ‘রাযিআল্লাহু আনহুকি সাহাবাদের জন্য নির্দিষ্ট?

* যদি সাহাবাদের জন্য নির্দিষ্ট হয় তাহলে সমাধান কী?

হযরত যদি আমাকে এই বিষয়ে সমাধান দিতেন তাহলে আমি ভীষণ উপকৃত হতাম। আল্লাহ তাআলা আপনাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন। আমীন।

 

Answer

 كلمة الترضي সাধারণত সাহাবীদের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং كلمة الترحم ব্যবহার করা হয় আল্লাহ তাআলার অন্যান্য নেক বান্দা ও আহলে ইলমদের জন্য। কিন্তু শব্দ দুটি কোনো একটির জন্য খাস নয়। উভয়টি দুআর শব্দ। তাই كلمة الترضي সাহাবী ছাড়া অন্যদের জন্যও ব্যবহার হয়ে থাকে। 

Sharable Link

মুহাম্মাদ আব্দুল আযীয - হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম

Question

হযুর! আশা করি ভালো আছেন, আল্লাহ আপনার হায়াতে বরকত দান করুন।

আমি এ বছর দাওরায়ে হাদীস পড়ি। হাদীসের বিভিন্ন কিতাবে একটি চিহ্ন দেখতে পাই যা অন্য কিতাবেও মাঝে মাঝে দেখা যায়। তা হল ( نــ   ) চিহ্ন । এখন আমার জানার বিষয় হল,

(ক) এই চিহ্ন দিয়ে যেই টীকা লেখা হয় তা কার লেখা, কিতাবের মূল হাশিয়া যিনি লিখেছেন তাঁর লেখা না অন্য কারো?

(খ) এ চিহ্ন দ্বারা কি নুসখাউদ্দেশ্য না অন্য কিছু?

(গ) মূল ইবারতে যা আছে তা অধিক শুদ্ধ নাকি টীকায় যা আছে তা অধিক শুদ্ধ? কোনো কোনো কিতাবে তো উভয়টির মাঝে অধিক তফাত দেখা যায়। যেমন কোথাও মূল ইবারতে আছে এক বচন আর টীকায় বহুবচন। আবার কোথাও ইবারতে আছে মুযাককার আর টীকায় আছে মুআন্নাছ। কোনো কোনো জায়গায় শব্দেরও পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন, বুখারী শরীফ ২য় খণ্ড পৃ. ৬৫৭-এ মূল ইবারতে আছে- فجلس يمسح النوم  আর টীকায় আছে  فجعل

(ঘ) আমরা হাদীস পড়তে, লিখতে বা মুখস্থ করতে কোনটার দিকে লক্ষ্য রাখবো?

(ঙ) এ টীকা যিনি লিখেছেন তা নিজের থেকে সংশোধন করেছেন নাকি অন্য কোনো নুসখা থেকে? জানালে খুবই উপকৃত হব।

(চ) আবু দাউদ শরীফের হাশিয়া কে লিখেছেন? তিনি কোন মাযহাবের ছিলেন? তার সংক্ষিপ্ত জীবনী আলোচনা করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।


 


Answer

(ক-খ) সহীহ বুখারীর যে নুসখাটি হিন্দুস্তানে প্রচলিত তা মাওলানা আহমদ আলী সাহারানপুরী রাহ. (১২৯৭ হি.) কর্তৃক তাসহীহকৃতযিনি কিতাবের উপর হাশিয়াও লিখেছেন। এর মতন ও হাশিয়ায় (نــ) চিহ্ন রয়েছে সেটি نسخة শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলচিহ্নিত শব্দের ক্ষেত্রে নুসখার ইখতেলাফ ও বিভিন্নতা নির্দেশ করা।

(গ-ঘ) নুসখার ইখতিলাফের ক্ষেত্রে কোনটি বেশি সহীহ ও অগ্রগণ্য তা সংশ্লিষ্ট উসূলের ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে। যেমনযেটি অধিকাংশ নুসখায় থাকে বা অধিক মুতকান ও নির্ভরযোগ্য নুসখায় থাকবে সেটি অগ্রগণ্য হবে। কিংবা যেটি আরাবিয়্যাতের বিচারে সহীহ বা অধিক ফসীহ সেটি বেশি অগ্রগণ্য। কিংবা যে শব্দটিকে গ্রহণ করলে সিয়াক ও সিবাকের বিবেচনায় মতনের অর্থ সঠিক থাকে সেটি অগ্রগণ্য। যা হোক এ ধরনের ক্ষেত্রে শুরুহাতের শরণাপন্ন হতে হয়। এক্ষেত্রে ফাতহুল বারী,উমদাতুল কারী এবং ইরশাদুসসারী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

(ঙ) আহমদ আলী সাহারানপুরী রাহ. সহীহ বুখারীর নুসখা তাসহীহ করার সময় দশটি নুসখাকে সামনে রেখেছেন। একথা তিনি নিজে কিতাবের এক জায়গায় নুসখার ইখতেলাফ বয়ান করার প্রসঙ্গে বায়নাস সুতুরে (দুই লাইনের মাঝখানে) উল্লেখ করেছেন। দেখুন ১ম জিলদ পৃ. ১৭-এর সাত ও আট নম্বর লাইনের মাঝখানে। এছাড়াও তিনি কিতাবের শুরুহাতকে সামনে রেখেছেন। বিশেষত পূর্বোক্ত তিনটি শরহকে। তিনি কিতাবের শুরুতে তার মুকাদ্দিমার চতুর্থ ফছলে নুসখার ইখতেলাফ বর্ণনার জন্য ব্যবহৃত অন্যান্য রুমুয ও চিহ্নসমূহেরও উদ্দিষ্ট অর্থ বয়ান করেছেন।

(চ) আমাদের দেশে মাদরাসাগুলোতে সুনানে আবু দাউদের যে দুটি নুসখা প্রচলিত তার একটি মাওলানা ফখরুল হাসান গাঙ্গুহী রাহ.-এর التعليق المحمود নামক হাশিয়া সম্বলিত। এ নামটি নুসখার শুরুতে ও প্রত্যেক পৃষ্ঠার হাশিয়ার শেষে উল্লেখ রয়েছে।

আর অপর নুসখাটি হল মুহাম্মাদ হায়াতসাম্বলী রাহ.-এর হাশিয়া সম্বলিত। তার এই নাম কিতাবের সর্বশেষ হাশিয়ার শেষে উল্লেখ রয়েছে। তিনি মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরী রাহ. এবং মাওলানা ইয়াহইয়া কান্দলবী রাহ.-এর শাগরেদতার জীবনী জানার জন্য দেখুনআশেক ইলাহী রাহ.-এর العناقيد الغالية من الأسانيد العالية পৃ. ৬৬। আর মাওলানা ফখরুল হাসান রাহ. হলেন শায়খুল হিন্দ মাহমুদ হাসান রাহ.-এর সহপাঠী এবং নানুতুবী ও গাঙ্গুহী রাহ.-এর শাগরেদ। তাঁর ওফাত ১৮৯৮ হিজরী সনে। তাঁর জীবনী জানার জন্য দ্রষ্টব্য : নুযহাতুল খাওয়াতির ৮/২৫৪আলইমাম ইবনু মাযাহ ওয়া কিতাবুহুস সুনানমাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ নুমানী রাহ. পৃ. ২৮০

Sharable Link