মুহাম্মাদ হাফিয ইবনে সোহরাব - হাটহাজারী মাদরাসা চট্টগ্রাম

Question

আমি দাওরায়ে হাদীসের একজন ছাত্র। সহীহ বুখারীর জন্য ফাতহুল বারী, সহীহ মুসলিমের জন্য ফাতহুল মুলহিম এবং জামে তিরমিযীর জন্য দরসে তিরমিযী মুতালাআ করার ইচ্ছা করেছি। কিন্তু ফাতহুল বারী পরিপূর্ণভাবে মুতালাআ করার সময় পাই না। সুতরাং ফাতহুল বারী ও ফাতহুল মুলহিম মুতালাআর সময় কোন কোন বিষয়ের প্রতি অধিক দৃষ্টি রাখব? আশা করি, জানিয়ে বাধিত করবেন।

Answer

খুবই উত্তম নির্বাচন। তবে জামে তিরমিযীর জন্য ‘মাআরিফুস সুনান’ মুতালাআ করাও জরুরি। উল্লেখিত কিতাবগুলো হচ্ছে উলূম ও মাআরিফ এবং আসরার ও রুমূয-এর ভাণ্ডার। তাই সেসব আলোচনা আত্মস্থ' করার জন্য বারবার মুতালাআ করতে হবে এবং তা অব্যাহত রাখতে হবে। এখন আপনি যা মুতালাআ করবেন তা হবে প্রাথমিক মুতালাআ। তাই চেষ্টা করুন, যেন কিতাবগুলোর ‘ফন্নী বহছসমূহ’ ফন্নী উসূল ও আন্দায মোতাবেক বোঝার যোগ্যতা পয়দা হয়। এর জন্য অবশ্য ওই ফনগুলোর সঙ্গে আপনার মোটামুটি সম্পর্ক থাকতে হবে, যা এসব কিতাবের আলোচনায় প্রয়োগ করা হয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট ফনের সঙ্গে মুনাছাবাত রাখেন এমন কোনো উস্তাদের নেগরানীতে প্রত্যেক কিতাবের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ‘বহছ’ মুযাকারা ও তাকরার করে নেওয়াও প্রয়োজন। এরপর তার খোলাছা মৌখিক বা লিখিত আকারে তাঁর সামনে পেশ করবেন। সব তালিবে ইলমের জন্য তো দাওরায়ে হাদীসের বছর এসব কিতাব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আগাগোড়া মুতালাআ করা সম্ভব নয়। তবে আল্লাহ তাআলা যাদেরকে ‘কিতাবী ইসতি’দাদ’ দান করেছেন তাদের জন্য জরুরি হল একটু মেহনত করে এসব কিতাবের সাহায্যে ‘ফন্নী ইসতি’দাদ’ তৈরি করে নেওয়া। আপাতত এই মৌলিক কথাটি বলেই শেষ করছি। আপনার যদি আগ্রহ হয় তাহলে এই কিতাবগুলো থেকে এমন কিছু ‘বহছ’ নির্বাচন করুন, যা ফন্নীভাবে বোঝা আপনার কাছে কঠিন মনে হয়। অতঃপর সে সম্পর্কে ‘আলকাউসারে’ প্রশ্ন করুন। তবে এক চিঠিতে একটি প্রশ্নের বেশি লিখবেন না। আল্লাহ তাআলার তাওফীক অনুযায়ী সাহায্য করার চেষ্টা করব।

Sharable Link

হাবীবুল্লাহ, সাইফুল্লাহ - রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম

Question

আমরা হিদায়াতুন নাহু জামাতের ছাত্র। দরসে নিযামীর শুরু থেকেই পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হিদায়াতুন নাহু কিতাবটির লেখক কে এবং তিনি কোথাকার লোক? এই তথ্য আমরা সঠিকভাবে জানতে পারিনি। এ সম্পর্কে সামর্থ্য অনুযায়ী যেসব তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছি তা প্রশ্নের সঙ্গে সংযুক্ত করা হল। আশা করি, এ বিষয়ে যথাযথ ও তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা করে আমাদেরকে বিভ্রান্তি মুক্ত করবেন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন। আমীন।

Answer

মাশাআল্লাহ, অনেক মেহনত করেছেন। আল্লাহ তাআলা আরো তারাক্কী দান করুন। আমীন। সংযুক্ত কাগজটিতে এক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, ‘আবু হাইয়ান নাহবী’কে ‘হেদায়াতুন নাহু’ কিতাবের মুসান্নিফ বলা হয়েছে। এটা যে ভুল এতে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা, তাঁর রচনাবলির উসলূবই আলাদা। আর এ পর্যন্ত যত তথ্য এসেছে তার আলোকে চূড়ান্ত কোনো রায় দেওয়া যায় না। আরো তাহকীকের প্রয়োজন। আর তার জন্য যেসব কিতাব ও মাছাদির প্রয়োজন তার অধিকাংশই মারকাযের বিশাল কুতুবখানাতেও নেই। ইনশাআল্লাহ অনুসন্ধান ও তালাশের কাজ অব্যাহত রাখব এবং এ কিতাবের প্রাচীন পাণ্ডুলিপিসমূহ থেকে তথ্যও যোগাড় করার চেষ্টা করব।

তবে তা সময়সাপেক্ষ কাজ এবং এ জন্য ধৈর্য্যের প্রয়োজন। কোনো তাহকীকী নতীজা সামনে এনে আপনাদের অবগত করব ইনশাআল্লাহ।

Sharable Link

মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান - খুলনা

Question

হিসনে হাসীনের লেখকের নামের উচ্চারণ কী?। তার নামের জীম হরফে কাসরা হবে নাকি ফাতহা? সাধারণত লোকজন ‘ইবনুল জিয্রী’ উচ্চারণ করে। জানা নেই কোনটা সঠিক? আর ‘আলআযকার’-এর লেখক জানার আগ্রহ থাকলেও এ বিষয়ে কোনো দিক-নির্দেশনা পাইনি। আশা করি, এ বিষয়ে সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।

Answer

শব্দটি ইবনুল জাযারী অর্থাৎ জীমে ফাতহা হবে। আর আলআযকার-এর মুসান্নিফের নিসবত দুটোই ঠিক এবং প্রচলিত। ইবনুল জাযারী-এর নিসবত ‘জাযিরাতু ইবনে ওমর’-এর দিকে। দিমাশকের একটি গ্রামের নাম ‘নাওয়া’। এর দিকে ইমাম নববীকে নিসবত করা হয়েছে। দু’জনই প্রসিদ্ধ ইমাম। বহু কিতাবে তাঁদের জীবনী উল্লেখিত হয়েছে। ইমাম নববীর জীবনী ‘তবাকাতুশ শাফেইয়্যাতিল কুবরা’তে রয়েছে। ইবনুল জাযারী রাহ. সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ইবনে ফাহদ মক্কীর ‘যাইলু তাযকিরাতিল হুফফায’ গ্রন্থে। আল্লামা সাখাভীর ‘আয-যাওউল লামি’ তেও তাঁর তরজমা দেখা যেতে পারে। নিসবতের তাহকীকের জন্য দেখুন আল্লামা ইবনুল আছীরের ‘আললূবাব’ বা আল্লামা সুয়ূতীর ‘লুব্বুল লুবাব’।

Sharable Link

মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান - বাগেরহাট, খুলনা

Question

আমি মিযান পড়ব এবং আমার ভাই নাহবেমির পড়ছে। আমাদেরকে একজন এই দুই কিতাবের এবারত মুখস্ত করার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু আমি ভালোভাবে ফারসি জানি না। আমাদের জন্য কি এ দুই কিতাবের ইবারত মুখস্ত করা ফলদায়ক হবে? সঠিক রাহনুমায়ী দান করে কৃতজ্ঞ করবেন।

Answer

এই কিতাব দুটির এবারত তো মূল উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য হল কিতাবের কাওয়ায়েদগুলো নিজের ভাষায় ভালোভাবে বুঝে নেওয়া এবং প্রচুর গর্দান ও মিছালের মাধ্যমে তামরীন করা। এভাবে কাজ করলে এবং ছীগাসমূহ চেনার ও তারকীব বোঝার যোগ্যতা পয়দা হলে এই কিতাবের মাকছাদ হাসিল হবে। ফারসী ইবারত শব্দে শব্দে না বুঝলেও কোনো সমস্যা নেই। এর পরিবর্তে তামরীনে সময় দিন এবং যথাসম্ভব অধিক পরিমাণে তামরীন করুন। এতেই উপকার হবে ইনশাআল্লাহ। উর্দূ-ফারসী ইবারত শুধু সেই মুখস্ত করতে পারে যার দু’এক বার পড়লেই ইবারতসহ মুখস্ত হয়ে যায়। কিন্তু যাকে আলাদা মেহনত করে মুখস্ত করতে হয় তার জন্য এটা মুনাসিব নয়। তাই উপরের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করতে থাকুন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ওই কিতাবগুলোর ইবারত মুখস্ত করেছিলাম, কিন্তু এখন কিছুই মনে নেই। তামরীন ও ইজরার মাধ্যমে যে ফায়দা হয়েছিল তার দ্বারাই এখন কাজ চলছে। আল্লাহ তাআলা তাওফীক দান করুন। আমীন।

Sharable Link

হযরত মাওলানা সরফরায খান ছফদর রাহ.-এর তাসানীফের তালিকা -

Question

মুহাম্মাদ যাকারিয়া আবদুল্লাহ (পূর্ব প্রকাশিতের পর আলকাউসার শাবান-রমযান ৩০ ও শাওয়াল ’৩০ সংখ্যায় তাঁর ২১টি কিতাবের নাম সংক্ষিপ্ত পরিচিতিসহ উল্লেখ করা হয়েছিল। এ সংখ্যায় আরো কিছু কিতাবের নাম দেওয়া হল।

Answer

২২. শওকে হাদীস হাদীস শরীফের অন্বেষণ ও সংরক্ষণের বিষয়ে মুহাদ্দিসীনে কেরামের অতুলনীয় ত্যাগ ও কুরবানী এবং তাঁদের সততা, সত্যবাদিতা ও সূক্ষ্মদর্শিতা সম্পর্কে এ কিতাবে আলোচনা করা হয়েছে। হাদীস সংরক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতি ও তার সফলতা এবং মুনকিরীনে হাদীসের বিভিন্ন অসার আপত্তির ব্যাপারেও সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করা হয়েছে। ২৪ রবিউছ ছানী ১৩৬৯ হিজরী মোতাবেক ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ ঈসায়ী তারিখে কিতাবটির রচনা শুরু হলেও মাঝে দীর্ঘ সময় তা মুলতবী থাকে। তাই দীর্ঘ দিন পর ২ যিলকদ ১৩৯০ হিজরী, মোতাবেক ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭০ ঈসায়ী তা সমাপ্ত হয়। ২০০২ ঈসায়ী পর্যন্ত এর তিনটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। পৃষ্ঠাসংখ্যা ১৭৮। ২৩. নূর ওয়া বাশার এটি তাঁর স্বলিখিত রচনা নয়। ফাইযায় আহমদ ছাওয়াতী হযরত মাওলানা রাহ.-এর বিভিন্ন কিতাব থেকে তা সংকলন করেন। সফর ১৪১১হিজরীর দিকে তা সমাপ্ত হয়। পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৩০। ২৪. ‘মাসআলায়ে কুরবানী’ কুরবানী সম্পর্কে মুনকিরীনে হাদীস গোষ্ঠীর প্রোপাগাণ্ডা খণ্ডন করে লিখিত। হজ্বের কুরবানী ছাড়াও সাধারণ কুরবানীর বিধানও যে কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত তা এই কিতাবের আলোচ্য বিষয়। এই মৌলিক বিষয়ের পাশাপাশি একটি শাখাগত মাসআলা-কুরবানী কতদিন করা যায় এ সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন। সমাপ্তির তারিখ ১৩ রবীউল আওয়াল ১৩৭৪ হিজরী, মোতাবেক ৯ নভেম্বর ১৯৫৪ ঈসায়ী। আগস্ট ১৯৮৩ ঈসায়ী পর্যন্ত এর তিনটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪২। ২৫. খাযাইনুস সুনান তাঁর তিরমিযী শরীফের দরসী তাকরীর। মাওলানা রশীদুল হক খান তা সংকলন করেন। ২৬. দিল কা ছুরূর কুরআন-সুন্নাহ, আছারে সাহাবা ও জুমহুরে সালাফ ও খালাফের উদ্ধৃতিতে প্রমাণ করা হয়েছে যে, বিশ্বজগতে একমাত্র আল্লাহ তাআলাই হলেন মুখতারে কুল। তাঁরই আদেশে বিশ্বজগতের সকল কিছু পরিচালিত হয়। এ বিষয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়ায় তাদের অসার যুক্তিসমূহের স্বরূপ উন্মোচন করা হয়েছে। এছাড়া আরো কিছু কিতাব, যা সরাসরি সৌভাগ্য না হলেও মাকতাবায়ে ছফদরিয়ার প্রকাশনার তালিকা থেকে তা উল্লেখ করছি। ছামায়ে মাওতা দরূদ শরীফ পড়নে কা শরয়ী তরীকা ইহসানুল বারী তাবলীগে ইসলাম চেরাগ কী-রৌশ্নী ঈসাইয়্যাত কা পছমানযার মাকালায়ে খতমে নবুওয়ত বানিয়ে দারুল উলূম দেওবন্দ রাহে হেদায়েত ইতমামুল বুরহান ফী রাদ্দি তাওযীহিল বয়ান হিলয়াতুল মুসলিমীন ইনকারে হাদীস কে নাতাইজ আলকালামুল হাভী।

Sharable Link