মুহতারাম! আমি শরহে বেকায়া জামাতের একজন তালিবুল ইলম। আমি আহাদীসুল আহকাম হিফয করতে চাই। তাই এ বিষয়ক কোনো কিতাবের নাম জানালে উপকৃত হব। জাযাকুমুল্লাহু খায়রান।
মুহতারাম! আমি শরহে বেকায়া জামাতের একজন তালিবুল ইলম। আমি আহাদীসুল আহকাম হিফয করতে চাই। তাই এ বিষয়ক কোনো কিতাবের নাম জানালে উপকৃত হব। জাযাকুমুল্লাহু খায়রান।
আপনি আল্লামা মুহাম্মাদ ইবনে আলী নীমাবী (১৩২২ হি.) রাহ.-এর آثار السُّنن এবং ইমাম ইবনু দাকীকিল ঈদ (৬২৫-৭০২ হি.) রাহ.-কৃত
الإلْمَام بأحاديثِ الأحكام
থেকে আহাদীসুল আহকাম হিফয করতে পারেন।
Sharable Link
আমি শরহে বেকায়া জামাতের ছাত্র। তরজমাতুল কুরআনিল কারীম কীভাবে পড়ব- জানালে উপকৃত হব। জাযাকুমুল্লাহু খায়রান।
এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-
১. بيان اللغة শব্দ বিশ্লেষণ। এর জন্য লুগাতুল কুরআন বিষয়ক কিতাব দেখতে হবে। যেমন রাগেব আসফাহানী রাহ.-এর المفردات في غريب القرآن এবং উর্দু ভাষায় মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ নুমানী রাহ.-এর لغات القرآن।
২. بيان الإعراب বাক্য বিশ্লেষণ। এর জন্য দেখতে হবে إعراب القرآن বিষয়ক কিতাবাদি। শায়েখ মুহিউদ্দীন দরবেশ (১৪০৩ হি.) রাহ.-এর
إعرابُ القرآن الكريم وبيانُه
একটি সহজবোধ্য কিতাব।
৩. ترجمة معاني القرآن বিষয়ক আরবী বা ভিন্ন ভাষায় যেসব কিতাব রয়েছে সেসবের কোনোটা মুতালাআ করা। যেমন আরবী কিতাবগুলোর মধ্যে রয়েছে শায়েখ আলী সাবূনী (১৪৪২ হি.) রাহ.-কৃত صفوة التفاسير।
বাংলা ভাষায় হযরত আদীব হুযুর দামাত বারাকাতুহুমের-
الطريق إلى القرآن الكريم
আহলে মাদারেস ও মাদারেসের তলাবার জন্য অনন্য তোহফা। এর তৃতীয় ও চতুর্থ খণ্ডে-
ملاحظات حول الترجمة
শিরোনামের অধীনে যেসব আলোচনা রয়েছে, সেগুলো খুব মনোযোগের সঙ্গে বুঝে বুঝে পড়া উচিত। আশা করি এটি এ বিষয়ে বাসীরত হাসিলে সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।
৪. আকাবির উলামায়ে কেরাম কর্তৃক রচিত নির্ভরযোগ্য অনুবাদ মুতালাআ করা। যেমন তরজমাতু শায়খিল হিন্দ, বয়ানুল কুরআন ও আসান তরজমায়ে কুরআন। আর বাংলাভাষায় ইমদাদিয়া লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত কুরআনের বঙ্গানুবাদ, হযরত মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম দামাত বারাকাতুহুম-কৃত তাওযীহুল কুরআনের অনুবাদ এবং অধ্যাপক মাওলানা গিয়াসুদ্দীন আহমদ দামাত বারাকাতুহুম-কৃত তাফসীরে উসমানীর বঙ্গানুবাদ।
Sharable Link
আমি মাদানী নেসাবের তৃতীয় বর্ষের একজন তালিবুল ইলম। আমাদের এ বর্ষে المختصر القدوري পড়ানো হয়। কিতাবটি কীভাবে পড়া উচিত- জানালে উপকৃত হব।
কিতাব পড়ার আগে প্রথমে কিতাবের নাম ভালোভাবে জানা উচিত। একজন তালিবে ইলমের পক্ষে এটা কিছুতেই শোভনীয় নয় যে, সে কিতাবের নাম সহীহভাবে না জেনে কেবল প্রকাশকের ভুলের অনুসরণ করবে। এটা المختصر القدوري নয়, বরং مختصر القدوري । এখানে ইযাফতের নিসবত। অর্থাৎ ইমাম কুদূরী রাহ.-এর মুখতাসার। তালিবে ইলমদের মধ্যে এ ধরনের ভুল অনেক। যেমন কেউ কেউ বলে ‘মুজামুল ওয়াসীত’ (معجم الوسيط)। অথচ সঠিক হল ‘আলমুজামুল ওয়াসীত’ (المعجم الوسيط)। এখানে মওসুফ-সিফতের নিসবত। এ ধরনের ভুল তালেবে ইলমের পক্ষে অনেক বড় আয়েব। কারণ এটা গাফলতের লক্ষণ।
যাহোক, মুখতাসারুল কুদূরী রচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ ফিকহী মাসআলাসমূহ বোঝা এবং সেগুলো মুখস্থ করা। তাই এ কিতাবে আপনার প্রধান কাজ হল-
ক. প্রথমে আপনি কিতাব ‘হল্’ করবেন এবং কিতাবের মাসআলাগুলো সুস্পষ্টভাবে বুঝে নেবেন।
তবে লক্ষণীয় হল, দরসে বা তাকরারে শুধু বাংলায় মাসআলা বুঝে নেওয়া যথেষ্ট নয়; বরং অবশ্যই আপনার বুঝটাকে কিতাবের সঙ্গে মেলাতে হবে। অর্থাৎ উস্তাযের তাকরীর শুনে যা বুঝেছেন সেটাকে আপনি সরাসরি কিতাবের ইবারতের সঙ্গে মিলিয়ে বুঝতে পারছেন কি না।
মনে রাখবেন, পুরো কিতাব আপনাকে এভাবেই মেহনত করে পড়তে হবে। নতুবা ইস্তি‘দাদ তৈরি হবে না।
খ. মুযাকারা ও আলোচনার মাধ্যমে বা খাতায় নোট করে মাসআলাগুলো মুখস্থ করা।
গ. কিতাবে ব্যবহৃত ফিকহী পরিভাষাসমূহ এবং সেগুলোর অর্থ ও উদ্দেশ্যসমূহ উস্তাযের কাছ থেকে যথাযথভাবে বুঝে নেবেন এবং মুখস্থ করবেন।
মোটকথা, কিতাব হল করা, কিতাবের মাসায়েল ও ইসতিলাহাত তথা পরিভাষাসমূহ ভালোভাবে বোঝা ও কণ্ঠস্থ করাই আপনার আসল কাজ। উস্তাযের পরামর্শক্রমে সঙ্গে আল্লামা কাসেম ইবনে কুতলূবুগা (৮৭৯ হি.) রাহ.-কৃত
الترجيح والتصحيح على القدوري
মুতালাআ করতে পারেন।
এছাড়া উস্তাযের সাথে মশওয়ারাক্রমে মুখতাসারুল কুদূরীর কোনো একটি শরাহ মুতালাআ বা মুরাজাআয় রাখা যেতে পারে। যেমন পরবর্তীকালের শরাহগুলোর মধ্যে আল্লামা আবদুল গনী গুনাইমী (১২৯৮ হি.) রাহ.-কৃত-
اللُّباب في شرح الكتاب
আগের শরাহগুলোর মধ্যে ইমাম আবু বকর আলহাদ্দাদ (৮০০ হি.) রাহ.-কৃত-
الجوهرة النيّرة
আর মুসান্নিফের একদম কাছাকাছি যামানার শরাহসমূহের মধ্যে মুসান্নিফের শাগরিদ ইমাম আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ আবু নাস্র আকতা‘ (الأقطع) বাগদাদী (৪৭৪ হি.) রাহ.-কৃত-
شرح مختصر القدوري
Sharable Link
হযরত! আমাদের মাদরাসার মাকতাবায় দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ বৈরুত থেকে প্রকাশিত ‘কাশফুয যুনূন’-এর নুসখা আছে। এ নুসখার হাশিয়ায় অনেক যায়গায় ইংরেজিতে ঋ লিখে কিছু সংখ্যা উল্লেখ করা হয়, এরপর আরবীতে غلط، تحريف، خطأ ইত্যাদি লেখা হয়। যেমন مُنْيَةُ المُصَلِّي -এর শরাহ غُنْيَةُ المُتَمَلِّي -এর নামের নিচে টীকায় লেখা হয়েছে-
F : المستملي ৩-৯৯৮-৬ غلط এ সাংকেতিক চিহ্নের কী মর্ম?
আল্লাহ তাআলা হযরতকে জাযায়ে খায়ের দান করুন।
আপনি যে নুসখাটি দেখেছেন সেটি মূলত কুল্লিয়াতু ইস্তাম্বুলের শিক্ষক মুহাম্মাদ শরফুদ্দীন ইয়ালতাকিয়া (১৮৭৯ ঈ.-১৯৪৭ ঈ.)-এর তাহকীককৃত নুসখা, যা তিনি কিতাবের মুসান্নিফ হাজ্বী খলীফা (১০১৭ হি.-১০৬৮ হি.) রাহ.-এর স্বহস্তে লিখিত পাণ্ডুলিপির সঙ্গে মুকাবালা করে ছেপেছেন। এটি সর্বপ্রথম ১৯৪১-১৯৪৩ সালে ওয়াযারাতুল মাআরিফিত তুরকিয়া ইস্তাম্বুল থেকে প্রকাশিত হয়। এ নুসখার হাশিয়ার যে সাংকেতিক চিহ্নের দিকে আপনি ইঙ্গিত করেছেন তার হাকীকত হল, জার্মানির প্রাচ্যবিদ গোস্টাভ ফ্লুগেল (এটঝঞঅঠটঝ ঋখটএঊখ) কৃর্তক ১৮৩৫-১৮৫৮ সালে ‘কাশফুয যুনূন’ ল্যাটিন অনুবাদসহ জার্মানির লিপজিক শহর থেকে ছাপা হয়েছিল, যাতে অনেক ভুল রয়ে গিয়েছিল। শায়েখ মুহাম্মাদ শরফুদ্দীন তার তাহকীককৃত নুসখার হাশিয়ায় সে ভুলগুলো চিহ্নিত করে দিয়েছেন। যেমন আপনি যে বক্তব্যটি উদ্ধৃত করেছেন-
F :المستملي ৩-৯৯৮-৬ غلط
তার অর্থ হল, ফ্লুগেলের নুসখার ৩নং খণ্ডের ৯৯৮ নম্বর পৃষ্ঠার ৬নং লাইনে المُتَمَلّي -এর জায়গায় المستملي আছে, যা ভুল। এর বিবরণ তো শায়েখ মুহাম্মাদ শরফুদ্দীনের তাহকীককৃত নুসখার মুকাদ্দিমাতেই বিদ্যমান আছে।
Sharable Link