হুযুর! আমি মীযান জামাতের একজন তালেবে ইলম। এ বছর আমাদের নেসাবে ‘মীযান মুনশাইব’ কিতাবটি আছে। আমি মোটামুটি মেহনত করছি, কিন্তু কাক্সিক্ষত ফায়দা হচ্ছে না। আমার কিতাব বুঝতে কষ্ট হয়। অতএব আমার করণীয় কী— জানালে উপকৃত হব।
হুযুর! আমি মীযান জামাতের একজন তালেবে ইলম। এ বছর আমাদের নেসাবে ‘মীযান মুনশাইব’ কিতাবটি আছে। আমি মোটামুটি মেহনত করছি, কিন্তু কাক্সিক্ষত ফায়দা হচ্ছে না। আমার কিতাব বুঝতে কষ্ট হয়। অতএব আমার করণীয় কী— জানালে উপকৃত হব।
আপনার মূল কাজ হল, প্রথমে উস্তাযের কাছ থেকে কিতাবের আলোচনার সারাংশ ভালোভাবে বুঝে নেবেন। অর্থাৎ ‘সীগা’ রূপান্তর ও আফআল তৈরির কায়দাগুলো ভালোভাবে রপ্ত করবেন এবং এগুলো পাকাপোক্তভাবে আয়ত্ত করবেন। এরপর বেশি থেকে বেশি গরদানের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয় অনুশীলন করবেন। কোনো নেককার ও বুঝমান সাথীকে মুযাকারার জন্য ঠিক করে নিয়ে তার সঙ্গে নিয়মিত মুযাকারা করবেন। আর যখন কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করবেন তখন খেয়াল করে পড়বেন এবং সীগাসমূহ নির্ণয়ের চেষ্টা করবেন। এভাবে ইনশাআল্লাহ আপনার ইলমুস সরফের প্রাথমিক যোগ্যতা হাসিল হয়ে যাবে।
কিতাবের ফারসী পাঠের পেছনে অধিক মেহনতের প্রয়োজন নেই। আপনার মেহনতের মূল ক্ষেত্র হল তামরীন ও ইজরা।
উল্লেখ্য, আপনার লেখা থেকে মনে হচ্ছে, আপনি ‘মীযান’ ও ‘মুনশাইব’কে এক কিতাব ভাবছেন। অথচ এখানে দুইটি কিতাব। কিতাবদুটি সাধারণত এক মলাটে ছাপা হয় বিধায় অনেক তালেবে ইলম মনে করে, পুরোটা মিলে এক কিতাব এবং এই কিতাবের দুইটি অংশ। এটা ঠিক নয়।
মীযানুস সরফের মুসান্নিফ শায়েখ সিরাজুদ্দীন উসমান আউদী। ওফাত ৭৫৮ হিজরী।
আর ‘মুনশাইব’ কিতাবের মুসান্নিফ হলেন শায়েখ হামযা বাদায়ূনী।
হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ হানীফ গঙ্গুহী রাহ.-কৃত
ظفر المحصلىن باحوال المصنفىن
গ্রন্থে এই দুই কিতাবের মুসান্নিফ সম্পর্কে আলোচনা আছে।
Sharable Link
আমি এক মাদরাসার খেদমতে নিয়োজিত। তাদরীস ও মাদরাসার অন্যান্য যিম্মাদারি আদায়ের পর যেটুকু সময় পাওয়া যায় তাতে আমি ফিকহে মুদাল্লালের কোনো কিতাব মুতালাআ করতে চাই।
ইমাম আবু বকর জাসসাস রাযী (২২৯-৩২১ হি.) রাহ.-এর ‘শরহু মুখতাসারিত তহাবী’ ফিকহে হানাফীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মুদাল্লাল কিতাব। ইমাম যাহেদ কাউসারী রাহ. এ কিতাব সম্পর্কে বলেন—
مِن أنفَسِ كُتُبِ الحَنَفيّة، وأقْدَمِها، وأعْلاها استدلالاً ومُناقشةً.
আপনি এ কিতাবটি মুতালাআ করতে পারেন। এটি বৈরুতের দারুল বাশায়িরিল ইসলামিয়া থেকে আট খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
Sharable Link
হযরত! আমি এক মসজিদে খেতাবতের যিম্মাদারি পালন করি। আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে হাদীস তালাশ করতে হয়। আমার উলূমুল হাদীস বিষয়ে তেমন পড়াশুনা না থাকায় আমার পক্ষে হাদীসের শুদ্ধাশুদ্ধি যাচাই করা সম্ভব নয়। তাই এমন কিছু কিতাবের নাম বলে দিলে খুব উপকার হয়, যেগুলো থেকে আমি সহজে আমার প্রয়োজনীয় সহীহ হাদীসগুলো জানতে পারব।
আলমাদখাল ইলা উলূমিল হাদীসিশ শরীফে (পৃ. ১৮১-১৯৬) একটি শিরোনাম আছে—
طريقة قريبة لمعرفة الصحيح والضعيف في الجملة.
এ শিরোনামের অধীনে আপনি অনেক কিতাবের নাম পেয়ে যাবেন, যেগুলো থেকে আপনার বয়ানের জন্য সহীহ হাদীস সংগ্রহ করা সহজ হবে ইনশাআল্লাহ।
Sharable Link
শরহে বেকায়ার মুকাদ্দিমার একটি ইবারত হল—
فكتبت في هذا الشرح العبارة التي تقرر عليها المتن، لتغير النسخ المكتوبة إلى هذا النمط.
জানার বিষয় হল, لتغير শব্দটি কি এখানে তাফা‘উল-এর মাসদার, নাকি তাফয়ীলের মাজহুলের সীগা? বিভিন্ন জন থেকে বিভিন্ন রকম শুনেছি। অতএব অর্থগত দিক থেকে এবং মুসান্নিফের উদ্দেশ্য প্রকাশে কোন্টি সঠিক?
শব্দটি বাবে তাফয়ীল থেকে মাজহুলের সীগা হওয়াই মুনাসিব। কারণ এখানে উদ্দেশ্য হল, মতনের লেখক মাহমুদ ইবনে সদরুশ শরীয়াহ কতৃর্ক সর্বশেষ সম্পাদিত ও সংশোধিত নুসখা অনুসারে যেন অন্যরা তাদের পূর্ববর্তী নুসখাগুলোকে সংশোধন করে নেয়— এ কথা ব্যক্ত করা। আর এ উদ্দেশ্যটি এখানে তাফয়ীলের মাজহুলের সীগা থেকেই সাবলীলভাবে বুঝে আসে। কিতাবে فكتبت শব্দের উপরে যে হাশিয়াটি রয়েছে তা মনোযোগ দিয়ে পড়লেও বিষয়টি বুঝতে পারবেন বলে আশা করি।
Sharable Link