আসসালামু আলাইকুম! আমি এই বছর হিদায়াতুন্নাহু জামাত পড়েছি। কিন্তু আমি আরবীতে দুর্বল। কোনো একটা লাইন সঠিকভাবে পড়তে পারি না এবং তরজমাও করতে পারি না। আরবীতে ভালোভাবে কথা বলতে ও লিখতেও পারি না। তাই আমি চিন্তা করছি, এই বছর কাফিয়া জামাত না পড়ে ভালো কোনো জায়গায় আরবী সাহিত্য কোর্স করে সামনের বছর শরহে বিকায়া জামাতে ভর্তি হওয়া যায় কি না? জানার বিষয় হল, এটা আমার জন্য ঠিক হবে কি না? আর যদি ঠিক না হয় তাহলে এ অবস্থায় আমি কী করতে পারি?
আপনার অবস্থা আপনার উস্তায ভালো জানবেন। তাই আপনি তার সঙ্গে পরামর্শ করুন। তিনি যদি আপনাকে পুনরায় হেদায়াতুন্নাহু জামাত পড়ার পরামর্শ দেন, তাহলে আপনি হেদায়াতুন্নাহু কিতাবটি গুরুত্বসহকারে পড়ুন। প্রথমে কিতাব থেকে মূল কায়েদা ভালোভাবে বুঝুন। এরপর কায়েদার আলোকে ব্যাপক তামরীন ও অনুশীলন করুন। তামরীনের একটি সুরত হল, যে কোনো আরবী কিতাব পড়ার সময় খেয়াল করবেন, নাহুর কায়েদাগুলো সেখানে কীভাবে প্রয়োগ হচ্ছে। প্রতিটি বাক্যে ‘আমেল-মামূল’ নির্ণয়ের চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ লফযে রফা হবে, নাকি নসব? রফা হলে কী কারণে রফা? এখানে রফার আলামত কী ইত্যাদি। কোথাও না বুঝলে উস্তায বা সাথীদের থেকে বুঝে নেবেন। এভাবে সবর ও হিম্মতের সঙ্গে মেহনত করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ আপনার দুর্বলতা কেটে যাবে।
আর যদি আপনার উস্তায আপনাকে পুনরায় এসো আরবী শিখি থেকে শুরু করতে বলেন তাহলে সেটাও আপনার উস্তাযের পরামর্শে এমন কারো কাছে পড়বেন, যিনি এই কিতাবের পাঠদানের নিয়মনীতি সম্পর্কে অভিজ্ঞ। বলার অপেক্ষা রাখে না, এটিও তামরীনভিত্তিক একটি কিতাব। এ কিতাব পড়ার সময়ও ব্যাপক তামরীন ও অনুশীলন করতে হবে। সেজন্য আদীব হুজুরের ‘আততামরীনুল কিতাবী’ও সঙ্গে রাখা চাই।
আর কাফিয়া জামাত না পড়ে পরবর্তী জামাতে চলে যাওয়ার যে চিন্তা করেছেন তা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নিজের সিদ্ধান্তে এমনটা করবেন না।