আমি একজন হেদায়াতুন্নাহুর ছাত্র। উক্ত কিতাবের কয়েকটি মাসআলা আমাকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তাই প্রিয় বন্ধু আলকাউসারের সহযোগিতায় মহোদয়ের শরণাপন্ন হলাম। আশা রাখি প্রশান্তি পাব।
১. এই কিতাবের ৩নং পৃষ্ঠায় আছে-
أما المقدمة ففي المبادي التي يجب تقديمها
এখানে মুকাদ্দামা ও মাবাদী উভয়ের মাফহুম এক তাই ‘যরফিয়্যাতুশ শাই লিনাফসিহ’ লাযেম আসে। এর জবাব আরবী-উর্দু শরাহগুলোতে এভাবে দেওয়া হয়েছে যে, মুকাদ্দামা দ্বারা ‘আলফাযে মাখছুছা’ এবং মাবাদী দ্বারা ‘মাআনী মাখছুছা’ উদ্দেশ্য। অথবা এর বিপরীতও হতে পারে। আমার প্রশ্ন হল : ক) ‘আলফাযে মাখছুছা’ ও মাআনী মাখছুছা দ্বারা বাস্তবে আমি কী বুঝতে পারি?
খ) বিষয়টা তো কোনো ফরযী বিষয় নয়। মুসান্নিফ নিজেই বলেছেন, ‘‘ওয়ারাততাবতুহু আলা মুকাদ্দিমাতিন ...’’ তাহলে তারতীব দেওয়া একটি বিষয় আলফাযে মাখছুছাও হতে পারে আবার তার বিপরীতও হতে পারে কীভাবে?
গ) কোনো কোনো উস্তাদ বলেন যে, মুকাদ্দিমাটি আম অর্থাৎ মুকাদ্দামাতুল ইলমও হতে পারে আবার মুকাদ্দিমাতুল কিতাবও হতে পারে। আর মাবাদী খাছ শুধু মুকাদ্দিমাতুল ইলম এর জন্য। তাই কোনো প্রশ্ন থাকে না।
এক্ষেত্রে আমার জানার বিষয় হল, মুকাদ্দিমাতুল ইলম ও মুকাদ্দিমাতুল কিতাব বাস্তবে কোন জিনিসগুলো। কিতাবে প্রদত্ত সংজ্ঞা থেকে পূর্ণ বুঝা যাচ্ছে না। আর ‘মাবাদী আশারা’ যাকে বলা হয় তা কি মুকাদ্দিমাতুল ইলম-এর অন্তর্ভুক্ত না দুটোরই?
ঘ) আবার কোনো উস্তাদ বলেন, এখানে মুকাদ্দিমা শব্দটি শাব্দিক অর্থে ব্যবহৃত। অর্থাৎ যা কিছুই প্রথমে আলোচনা করা হবে অথবা আলোচনার জন্য স্থান বরাদ্ধ থাকবে তাই মুকাদ্দিমা। অতএব এখানে মুকাদ্দিমা বা অগ্রকথার স্থানে মাবাদীর কিছু অংশ আলোচনা করেছেন।
কিন্তু এই জবাবের সাথে আমি একমত নই এজন্য যে, তা কোনো কিতাবে পাইনি। এছাড়া তারতীবকৃত বস্ত্তর অস্তিত্ব থাকা তো জরুরি।
ঙ) আবার কোনো কোনো উস্তাদ বলেন, কাওয়ায়েদ এর আলোকে উভয় জবাব সহীহ। তাই আমি কোনটি মানব?
২. ১৭ নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, তারকীবের জন্য শর্ত হল তারকীবে ইসনাদী না হওয়া। যেমন-شاب قرناها
বাক্যটি ফি’ল ও ফায়েল দ্বারা গঠিত হয়েছে তাই তা মাবনী। এখন প্রশ্ন হল-حضر موت
অর্থাৎ حضر موت صالح
এ বাক্যটিও তো তারকীবে ইসনাদী দ্বারা গঠিত। সেটা গায়রে মুনছারিফ কেমন করে হল?
মহোদয়ের কাছে আশা রাখি, সব কটি প্রশ্নের বিস্তারিত সমাধান দিয়ে পেরেশানি দূর করবেন।
আল্লাহ তাআলা আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।