...
...
আপনি ঠিকানা লেখেননি। ঠিকানা পাঠালে বিস্তারিত উত্তর লিখে পাঠাব ইনশাআল্লাহ।
Sharable Link
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহ.-এর আকীদাগত কিছু সমস্যার কারণে তাকে বাতিল বলা হবে? নাকি এগুলোকে তার ইজতিহাদী ভুল বলা হবে? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহ. (৭২৮ হি.) কে নয়, তার ভুল সিদ্ধান্তগুলোকে ভুল বলা হবে এবং এটা বলাও হয়েছে। তাঁর ইজতিহাদী মতামত, ইজতিহাদী ভুলত্রুটি এবং সাধারণ ভুলত্রুটি সম্পর্কে অনেক রচনা বিদ্যমান রয়েছে। কখনও এই বিষয়ে মুতালাআর প্রয়োজন হলে জেনে নিবেন।
Sharable Link
ক) আমি তাখাসসুসের একজন ছাত্র। আমি যখনই ‘ফাতহুল বারী’ বা অন্য মাযহাবের কোনো আলিমের লিখিত কিতাব পড়তে বসি তখন আমার মনে এই সংশয় সৃষ্টি হয় যে, আমি তো হানাফী, আর আমার মাঝে হানাফী মাযহাবের ফিকহ, উসূলে ফিকহ সম্বন্ধে পূর্ণ দক্ষতা নেই। এখন আমি যদি অন্য মাযহাবের কিতাবে এমন কিছু পাই, যা হানাফী মাযহাব পরিপন্থী এবং সেখানে হানাফী মাযহাবের ফয়সালা উল্লেখ না থাকে তখন হতে পারে আমি নিজের অযোগ্যতার কারণে ভুলের শিকার হয়ে পড়ব। এ বিষয়ে আপনার মূল্যবান দিক নির্দেশনা কামনা করি।
খ) এ প্রসঙ্গে আরেকটি প্রশ্ন হল, আমরা জানি, চার মাযহাবের প্রত্যেকটিই হক। এখন কোনো নির্ভরযোগ্য কিতাবে যদি একটি মাসআলা দলীল-প্রমাণের দ্বারা সাব্যস্ত করা হয় আর মাসআলাটি হানাফী মাযহাব পরিপন্থী হয় এবং আমার এ কথা জানা না থাকে, এমতাবস্থায় আমার জন্য কি ঐ মাসআলা অনুযায়ী আমল করা সহীহ হবে? এবং এটা কি তালফীক হবে? অথচ এখানে তো আমি নিজের সুবিধা লক্ষ করিনি।
ক) এতে চিন্তিত হওয়ার কী আছে। আপনি ফাতহুল বারীর সঙ্গে উমদাতুল কারী ও ফয়যুল বারী মুতালাআ করতে থাকুন। ইনশাআল্লাহ সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তবে তুলনামূলক ও বিশ্লেষণমূলক দালিলিক আলোচনা সমৃদ্ধ কিতাবগুলো অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যোগ্যতার তো আসলে কোনো বিকল্প নেই, তবে এ প্রসঙ্গে উস্তাদের নেগরানী ও রাহনুমায়ী ইনশাআল্লাহ আপনার জন্য ফলদায়ক হবে।
খ) এ ধরনের মাসাইল আপনি ফিকহে হানাফীর মুদাল্লাল কিতাব থেকেও অধ্যয়ন করবেন। এতে ওই মাসআলায় ইমামদের মধ্যে মতভেদ থাক বা না থাক বিষয়টা দলীল ও বিশ্লেষণসহ আপনার জানা হয়ে যাবে।
Sharable Link
এ বছর আমি হেদায়া কিতাবটি অধ্যয়ন করছি। আমার সবচেয়ে বড় ভুল হল, আমি আরবী শরাহ মুতালাআয় অভ্যস্ত নই। নতুন বছর নতুন কিতাব যখন হাতে এল তখন বাধ্য হয়েই আরবী শরাহ আমাকে হাতে নিতে হল। আর এ বিষয়ে প্রেরণা পেয়েছি আলকাউসারের গত সংখ্যায় প্রকাশিত আপনার গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি থেকে। (আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।) এবং তখনই হেদায়ার শরাহ ফাতহুল কাদীর আমি সংগ্রহ করি। কিন্তু এ কিতাবটি মুতালাআহ করতে বসলে সবকিছু আমার কাছে অন্ধকার মনে হয়। মাসআলা বোঝা তো দূরের কথা, অর্থই স্পষ্টভাবে বুঝে আসে না। তাই জনাবের কাছে বিনীত নিবেদন এই যে, কীভাবে মুতালাআ করলে আমি এই কিতাব থেকে উপকৃত হতে পারি। এ ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিলে কৃতজ্ঞ হব।
আল্লাহ তাআলা আপনাকে সাহায্য করুন। আপনি প্রতিদিন কিছু সময় কিতাবী ইসতি’দাদ তৈরি করার জন্য ব্যয় করুন। এটা আধা ঘন্টাও হতে পারে। ‘আতত্বরীক ইলাল আরাবিয়্যাহ’ এবং‘আততামরীনুল কিতাবী আলাত ত্বরীক ইলাল আরাবিয়্যাহ’ থেকে সাহায্য নিতে পারেন। আপনার তা’লীমী মুরববীর নিকট থেকে অবশ্যই মশোয়ারা গ্রহণ করুন এবং তাঁর কাছ থেকে অনুশীলনের পদ্ধতি জেনে নিন। সঙ্গে সঙ্গে ‘ফাতহুল কাদীর’-এর অধ্যয়নও জারি রাখুন। এ প্রসঙ্গে তিনটি কথা মনে রাখলে ভালো হবে : ১. এটা অপরিহার্য নয় যে, প্রতিদিনের পূর্ণ সবক আপনি ফাতহুল কাদীর থেকে পড়বেন; বরং প্রতিদিন সাত-আট লাইন কিংবা চার-পাঁচ লাইনও যদি ‘হল’ করতে পারেন তাই যথেষ্ট। এরপর ধীরে ধীরে গতি বাড়তে থাকবে। ২. প্রথমে মনোযোগ দিয়ে হিদায়ার ‘মতন’ টুকু পড়ুন। হাশিয়ার সাহায্য নিন। ফাতহুল কাদীরের সঙ্গে ‘আলইনায়া’ও মুদ্রিত রয়েছে। সেটা আগে মুতালাআ করুন। এরপর ফাতহুল কাদীর মুতালাআ করুন। অথবা ওই আলোচনাটা প্রথমে ‘আলবিনায়া’ থেকে এরপর ‘ফাতহুল কাদীর’থেকে পড়ুন। ৩. এভাবে মেহনত করার পরও যে ‘বহছ’ বোধগম্য হবে না তা রেখে সামনে চলে যান। এরপর যখন কিতাবের আলোচনার সঙ্গে পরিচিত হয়ে যাবেন এবং কিতাবী ইসতিদাদও বাড়বে তখন রেখে আসা ‘বহছ’গুলো পুনরায় পড়া যাবে।
Sharable Link
দুটি বিষয় ব্যক্তিগত ভাবে জানার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আমার মতো অনেক ছাত্র বন্ধুদের মনেই হয়তো এই প্রশ্নগুলো আছে। তাই পত্রিকার মাধ্যমেই উত্তর জানতে চাচ্ছি।
ক) আমরা মাদরাসায় যে সমস্ত বিষয়ের কিতাবসমূহ পাঠ করে থাকি যেমন-ফিকহ, নাহব, ছরফ, বালাগাত ইত্যাদি। এগুলো কোনটি কোন সময়ে পড়া উত্তম?
খ) আমি এবারত পড়ায় দুর্বল। সহীহ শুদ্ধভাবে এবারত পড়ার যোগ্যতা কীভাবে অর্জন করা যায়?
ক) মাদরাসায় দরসের সময় সাধারণত নির্ধারিত থাকে, তাকরারের সময়ও নির্ধারিত। এ সময় তো আপনাকে মাদরাসার নিয়ম অনুযায়ীই চলতে হবে। এর বাইরে যে সময় অবশিষ্ট থাকবে তাতে আপনি নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন, কোন কিতাব কখন পড়লে মনোযোগ বেশি হয় এবং তাড়াতাড়ি ‘হল’ হয়। এটা পাত্র ভেদে বিভিন্ন রকম হতে পারে। তবে একটি মৌলিক কথা এই যে, কঠিন বিষয়ের অধ্যয়ন এমন সময় হওয়া চাই যখন পূর্ণ মনোযোগ ও উদ্দীপনা থাকে। আর সহজ-সাধারণ বিষয় যে কোনো সময়ই অধ্যয়ন করা যায়। আরো জানতে চাইলে ‘কীমাতুয যামান ইনদাল উলামা’ শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ পৃ. ১০০-১০২ অধ্যয়ন করুন।
খ) এ প্রসঙ্গে অনেক লেখা হয়েছে। সহজ ব্যবস্থা এই যে, ‘আতত্বরীক ইলাল আরাবিয়্যা’ ও‘আততামরীনুল কিতাবী আলাত ত্বরীক ইলাল আরাবিয়্যা’ সঠিকভাবে পড়ুন। এরপর নাহব-ছরফের প্রাথমিক কিতাবগুলো অনুশীলনের মাধ্যমে পড়ুন। এরপর যে আরবী কিতাবের ইবারত পড়তে চান তা ধীরে ধীরে পড়তে থাকুন। মনোযোগ দিয়ে এবং চিন্তা-ভাবনা করে। এভাবে মেহনত করলে অবশ্যই আপনার ইবারত শুদ্ধ হয়ে যাবে।
Sharable Link