Rabiul Auwal-Rabiul Akhir 1434 || February 2013

মুহিববুর রহমান - নেত্রকোণা

২৭৬৭. Question

খতমে কুরআন, খতমে ইউনুস ইত্যাদি পড়ে টাকা-পয়সা আদানপ্রদান জায়েয আছে কি? মৃতের জন্য ঈসালে সওয়াব করে কিংবা বালা-মুসিবতের জন্য বা রোগমুক্তির জন্য খতম পড়ে বর্তমানে টাকাপয়সার যে লেনদেন করা হয় তার হুকুম কী? বিস্তারিত জানতে চাই।

 

Answer

ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কুরআন মজীদ খতম করে বা অন্য কোনো দুআ-দরূদ পড়ে বিনিময়ে টাকা-পয়সা বা কোনো কিছু আদান-প্রদান করা নাজায়েয়।

সুতরাং বর্তমান সমাজে ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে দুআ দরূদ ও কুরআন খতম করিয়ে বিনিময়ে টাকা-পয়সা আদান-প্রদানের যে প্রথা কোনো কোনো জায়গায় চালু আছে তা নাজায়েয ও কু প্রথার

অন্তর্ভুক্ত। এ থেকে বিরত থাকা জরুরি।

হ্যাঁ, খতমে কুরআন, খতমে ইউনুস বা অন্য কোনো দুআ-দরূদের খতম যদি কেবলমাত্র দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে করা হয় (যেমন, রোগমুক্তি, বিপদ-আপদ থেকে হেফাযত, ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি ইত্যাদি) তবে সেক্ষেত্রে বিনিময় দেওয়া-নেওয়া জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রেও বিনিময়ে কোনো কিছু না নেওয়াই শ্রেয়। আর কারো জন্য এভাবে খতম পড়াকে পেশা হিসাবে অবলম্বন করা কিছুতেই সমীচীন নয়।

 

প্রকাশ থাকে যে, মুসলমানদের কর্তব্য হল, অসুখ-বিসুখ, বিপদ-আপদ ও প্রয়োজনের মুহূর্তে নিজেই নফল নামায, দুআ, দরূদ ও ইস্তিগফার দ্বারা আল্লাহ তাআলার সাহায্য প্রার্থনা করা, নফল সদকা দেওয়া। প্রয়োজনে পরিবারের সদস্যদেরকেও দুআ করতে বলা। আলেম, বুযুর্গ ব্যক্তিদের থেকে দুআ চাওয়া। সর্বোপরি সবর ও তাকওয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার রহমত কামনা করা।

 

এমনিভাবে মৃত আত্মীয়-স্বজনের ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে নিজেরাই কুরআন খতম ও দুআ-দরূদ পড়বে। দান-সদকা করবে। মূলত এসবই হল শরীয়তের দৃষ্টিতে উত্তম পন্থা।

আর ব্যবসা-বাণিজ্যে বরকতের জন্য সবচে বড় করণীয় হল, বৈধ পন্থায় ব্যবসা করা, মিথ্যা, ধোঁকা, ভেজাল, মাপে কম দেওয়া, সুদ ইত্যাদি সকল ধরনের হারাম কাজ ও পন্থা থেকে বেঁচে থাকা এবং সততা ও সত্যবাদিতার প্রতি যত্নবান হওয়া।

-ইলাউস সুনান ১৬/১৭৩; রদ্দুল মুহতার ৬/৫৬; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ৪/৩১৮; বযলুল মাজহূদ ১৫/৮৪; মজমূআতু রাসাইলি ইবনে আবেদীন ১/১৫৬-১৫৭, ২৭৪

Read more Question/Answer of this issue