Rabiul Auwal-Rabiul Akhir 1434 || February 2013

মুহাম্মাদ দিদারুল আলম - চাটখিল, নোয়াখালি

২৭৫৫. Question

ক) এ বিভাগের মাধ্যমে আমরা জেনেছি, খতম তারাবীহর বিনিময়ে টাকা দেয়া-নেয়া নাজায়েয। কোনো কোনো মসজিদে এশার নামায ও বিতর নামায আদায় করার শর্ত রেখে হাফেয সাহেবগণকে টাকা দেওয়া হয় এবং এ পদ্ধতিকে জায়েয মনে করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে হাদিয়া/টাকা দেওয়া জায়েয হবে কি? আর যে সমস্ত মসজিদে সূরা তারাবীহ হয় সে সমস্ত মসজিদেও তারাবীর হাদিয়া স্বরূপ টাকা পয়সা কালেকশন করা এবং টাকা দেওয়া হলে তা কি জায়েয হবে?

খ) মসজিদে ঘড়ি থাকলে এবং সময়সূচিতে জামাতের সময় নির্ধারিত থাকলে ঐ সময় অনুযায়ী নামায না পড়িয়ে ইমাম ২/৩ মিনিট দেরিতে নামায শুরু করার অথবা ইমামের জন্য ২/৫ মিনিট অপেক্ষা করার সুযোগ কি শরীয়তে আছে? একজন ইমাম সাহেব বলেছেন, ইমামের জন্য ৩/৫ মিনিট অপেক্ষা করার নিয়ম রয়েছে। কথাটি কি ঠিক?

 

 

Answer

ক) তারাবীহর হাফেয সাহেবদেরকে দিয়ে ইশা ও বিতর পড়িয়ে হাদিয়া দেওয়া-নেওয়া লেনদেনের একটি অপকৌশলমাত্র। একজন লোক শুধু এক ওয়াক্ত নামায পড়ালে তাকে এতগুলো টাকা বেতন দেওয়া হয় না-এ কথা সবাই বুঝে। এ ধরনের হীলা-বাহানার পথ পরিহার করাই কর্তব্য।-ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৩২২; ইমদাদুল আহকাম ১/৬৬৪

আর আমাদের মতে সূরা তারাবীহর ইমামতির ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য। সুতরাং এর জন্যও পৃথক কোনো হাদিয়া দেওয়া-নেওয়া যাবে না।

খ) জামাতের নির্ধারিত সময়ের রেয়ায়েত করা ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মুসল্লী সকলের দায়িত্ব। বিশেষ কোনো ওজর ছাড়া এর ব্যত্যয় ঘটানো এক ধরনের দায়িত্বে অবহেলার শামিল। তাই এ ব্যাপারে সকলের সচেতন থাকা উচিত। অবশ্য কোনো ইমাম সাহেব কখনো একটু বিলম্বে আসলে অথবা দেরিতে নামায শুরু করলে মুসল্লীগণের উচিত তা সহজে মেনে নেওয়া। এ নিয়ে ইমামের সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়া মুসল্লীর জন্য অনাধিকার চর্চা। 

Read more Question/Answer of this issue