Safar 1446 || August 2024

মুহিউদ্দিন - মোমেনশাহী

৬৫৩৪. Question

এক ব্যক্তি উমরাহ করতে যাবেন; কিন্তু তার কাছে টাকা নেই। এজন্য তিনি একটি সমিতি থেকে উমরাহ করার জন্য দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ হিসেবে নিতে চান। উমরাহ করতে টিকিট করা লাগবে। হোটেল বুকিং করতে হবে। আরো বিভিন্ন খরচ আছে। এসবকিছু বাবদ তিনি এজেন্সিকে যে টাকা দেবেন তা তিনি উক্ত সমিতি থেকে নিতে চান। সমিতি লাভের ভিত্তিতে তাকে এ টাকা প্রদান করবে। একজন বলেছেন, এটি জায়েয হবে। কেননা এখানে টিকিট আছে, হোটেল আছে। এগুলো পণ্য, সুতরাং পণ্যের বিনিময়ে এখানে সমিতির জন্য লাভের ভিত্তিতে টাকা দেওয়া জায়েয হবে।

আমার জানার বিষয় হল, তার এ কথা কি ঠিক? এটি কি বাস্তবেই জায়েয হবে? বিষয়টি বুঝিয়ে বলে বাধিত করবেন।

Answer

প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী উমরাহ গমনেচ্ছু ব্যক্তির টিকিট, হোটেল ইত্যাদি বাবদ এজেন্সিকে যে টাকা পরিশোধ করতে হবে, তা সমিতি থেকে লাভ দেওয়ার শর্তে অর্থাৎ বিনিয়োগের ভিত্তিতে গ্রহণ করা বৈধ হবে না। কেননা ফ্লাইটের টিকিট, হোটেলের রুম ও ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা এজেন্ট থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তির নামেই ইস্যু হয়। তখন এজেন্সির শুধু টাকা পাওনা থাকে। সে টাকা অন্য কেউ (যেমন সমিতি) প্রদান কারলে তা অন্যের পাওনা পরিশোধ করেছে বলে গণ্য হবে; যা মূলত তাকে নগদ টাকা ঋণ প্রদানের অন্তর্ভুক্ত। তাই এক্ষেত্রে টাকা দিয়ে লাভ নিলে সেটি সুদ বলে গণ্য হবে। এটি যেহেতু পাওনা পরিশোধ, তাই একে শরীয়তের শিরকত, মুদারাবা বা বেচা-বিক্রির সাথে সম্পৃক্ত করার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং এক্ষেত্রে সমিতির জন্য বিনিয়োগ করা সহীহ হবে না। সমিতি ঐ ব্যক্তির পক্ষে এজেন্সিকে টাকা দিলে তা ঋণ গণ্য হবে এবং শুধু ঐ পরিমাণ টাকাই ফেরত নেবে। অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা সুদ হবে।

-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ২১০৭৭; আলমুহীতুল বুরহানী ১০/৩৫১; আলবাহরুর রায়েক ৬/১২২; রদ্দুল মুহতার ৫/১৬৬

Read more Question/Answer of this issue