Zilhaj 1445 || June 2024

মাসুম বিল্লাহ - খড়কী, যশোর

৬৪৮৬. Question

এ বছর হজ্বের সফরে আরাফা থেকে মুযদালিফায় যাওয়ার রাস্তায় প্রচণ্ড ভিড় ছিল। হেঁটে যাওয়ারও সাহস হয়নি। তাই বাসেই বসা ছিলাম। দীর্ঘ সময় জ্যামে বসে থাকার পর একসময় আশঙ্কা হতে লাগল যে, ফজরের আগে হয়তো মুযদালিফায় পৌঁছতে পারব না। তাই আমরা কয়েকজন মুযদালিফার সীমানায় পৌঁছার আগেই মাগরিব ও এশার নামায পড়ে নিই। পরে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার ২০/২৫ মিনিট আগে মুযদালিফায় পৌঁছি।

হুজুরের কাছে জানার বিষয় হল, মুযদালিফায় এসে কি আবার মাগরিব ও এশার নামায পড়া জরুরি ছিল? আমরা তো পুনরায় পড়িনি। এক্ষেত্রে তা কি কাযা করতে হবে?

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মুযদালিফায় পৌঁছার পর ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে মাগরিব ও এশার নামায পুনরায় পড়ে নেওয়া আপনাদের ওপর জরুরি ছিল। কেননা ঐ দিন মাগরিব ও এশার নামায এশার ওয়াক্তে মুযদালিফায় পড়া ওয়াজিবওয়াক্ত শেষ হয়ে যাওয়ার আশংকায় মুযদালিফায় পৌঁছার পূর্বে মাগরিব-এশা পড়ে নেওয়া জায়েয হলেও মুযদালিফায় পৌঁছার পর এশার ওয়াক্ত বাকি থাকলে তা পুনরায় পড়া ওয়াজিব।

অবশ্য এক্ষেত্রে কেউ যদি মুযদালিফায় পৌঁছার পর তা পুনরায় না পড়ে এবং ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তীতে এর কাযা করার বিধান নেই। বরং মুযদালিফায় পৌঁছার আগে রাস্তায় আদায়কৃত নামায দ্বারাই তার ফরয আদায় হয়ে যাবে। তবে সময় পাওয়া সত্ত্বেও মুযদালিফায় আদায় না করার কারণে যে ত্রুটি হয়েছে, এর জন্য তওবা-ইস্তেগফার করতে হবে।

-শরহু মুখতাসরিল কারখী, কুদূরী ২/৪৯৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৫৬; ফাতহুল কাদীর ২/৩৭৮; আলবাহরুর রায়েক ২/৩৪১; গুনইয়াতুন নাসিক, পৃ. ১৬৩; রদ্দুল মুহতার ২/৫১০

Read more Question/Answer of this issue