Shaban 1445 || February 2024

নিজাম আলমাহমুদ - ইশ্বরদী, পাবনা

৬৩৮০. Question

আমাদের এলাকার একটি মার্কেটের সকল দোকানদার মিলে একটি সমিতি গঠন করে। ঈদ উপলক্ষে সমিতির পক্ষ থেকে কুপন পদ্ধতি চালু করা হয়। কোনো ক্রেতা সর্বনিম্ন ৩০০ টাকার যেকোনো পণ্য ক্রয় করলে তাকে একটি কুপন দিতে প্রত্যেক দোকানদারকে সমিতির পক্ষ থেকে বাধ্য করা হয়। নির্দিষ্ট দিনে উক্ত কুপনের ড্র করা হয়। এই ড্র পদ্ধতির মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ লোককে মোটর সাইকেল, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি দ্বারা পুরস্কৃত করা হয়, যা পূর্ব থেকেই সমিতি কর্তৃপক্ষ মানুষের মাঝে প্রচার করে দেয়।

উল্লেখ্য, সমিতির কাছ থেকে উক্ত কুপন গ্রহণ করার জন্য দোকান মালিক সমিতির প্রত্যেক সদস্যকে কুপন প্রতি দশ টাকা করে জমা দিতে হয়। কিন্তু কোনো ক্রেতা থেকেই এই কুপনের নামে কোনো টাকা নেওয়া হয় না। এই পদ্ধতি বৈধ কি না জানতে চাই।

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কুপন বাবদ যেহেতু ক্রেতাদের থেকে অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়া হয় না বরং দোকানিরাই এর আয়োজন করে থাকে তাই এটি দুটি শর্ত সাপেক্ষে বৈধ হতে পারে। একটি শর্ত বিক্রেতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তা হল, পুরস্কারের কারণে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করা যাবে না। কিংবা পণ্যের গুণগত মান আগের চেয়ে কমানো যাবে না। কেননা এমনটি করা হলে তা প্রায় জুয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। দ্বিতীয় শর্তটি ক্রেতাদের জন্য। তা হল পুরস্কারের আশায় পণ্য ক্রয় না করা। কেননা পুরস্কারের আশায় পণ্য ক্রয় করলে পুরস্কার পাওয়া যেতেও পারে, নাও পারে। ফলে উদ্দেশ্যগত কারণে তা জুয়ার সাদৃশ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য যে, এভাবে পুরস্কারের প্রলোভন দিয়ে পণ্য বাজারজাত করার পদ্ধতি শরীয়তের বাজারনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই শর্ত পূরণ করে করলেও তা অপছন্দনীয় কাজ বলে বিবেচিত হবে। কেননা এর দ্বারা কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করা হয়। ফলে বাজারের স্বাভাবিক গতি প্রভাবিত হয় এবং একচেটিয়া ব্যবসার পথ সুগম হয়। তাই এধরনের কুপন ও পুরস্কারের আয়োজন থেকে বিরত থাকাই কাম্য। শরীয়তের দৃষ্টিতে পছন্দনীয় হল, পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধির মাধ্যমে কিংবা মূল্য কমিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে চাহিদা সৃষ্টি করা।

মাআলিমুস সুনান ৩/৪০০; আল মুগনী ১৩/৪০৮; ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/১১৬

Read more Question/Answer of this issue