Rabiul Awal 1445 || October 2023

রাকিব - কুমিল্লা

৬২৮৬. Question

গত মে মাসের পনের তারিখ সোমবার দুপুর প্রায় তিনটার দিকে আমার নানা ব্রেইন স্ট্রোক করে বেহুঁশ হয়ে পড়েন। পরদিন দ্বিপ্রহর পর্যন্ত বেহুঁশ ছিলেন। এখন সুস্থ আছেন।

জানার বিষয় হল, বেহুঁশ অবস্থায় তার যে চার ওয়াক্ত নামায ছুটে গিয়েছিল তা কি এখন তার উপর কাযা করা আবশ্যক?

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার নানার জন্য ছুটে যাওয়া চার ওয়াক্ত নামায কাযা করা আবশ্যক। কেউ যদি এক দিন বা তার চেয়ে কম সময় (পাঁচ ওয়াক্ত নামায বা তার চেয়ে কম) বেহুঁশ থাকে তাহলে বেহুঁশ অবস্থায় ছুটে যাওয়া নামায হুঁশ ফিরে আসার পর কাযা করতে হবে।

সাঈদ আলমাকবুরী রাহ. ও মুহাম্মাদ ইবনে কায়েস রাহ. বলেনÑ

أَنَّ عَمَّارَ بْنِ يَاسِرٍ أُغْمِيَ عَلَيْهِ الظُّهْر وَالْعَصْر وَالْمَغْرِب وَالْعِشَاء، فَأَفَاقَ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ فَصَلّى الظّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْربَ وَالْعِشَاءَ.

আম্মার বিন ইয়াসির রা. যোহর, আসর, মাগরিব ও এশার সময় বেহুঁশ ছিলেন। পরে রাতে জ্ঞান ফিরলে তিনি যোহর, আসর, মাগরিব ও এশার নামায পড়ে নেন। (কিতাবুল হুজ্জাহ আলা আহলিল মাদীনা ১/১১৩; মুআত্তা মুহাম্মাদ, বর্ণনা ২৭৮)

হারেস রাহ. বলেন, ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বেহুঁশ ব্যক্তির ব্যাপারে বলতেনÑ

إِذَا أُغْمِيَ عَلَيْهِ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ أَعَادَ، وَإِذَا كَانَ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ لَمْ يُعِدْ.

কেউ যদি এক দিন এক রাত বেহুঁশ থাকে, তাহলে ছুটে যাওয়া নামায কাযা করবে। আর যদি এর চেয়ে বেশি সময় বেহুঁশ থাকে, তাহলে কাযা করবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৬৬৫৪)

Ñকিতাবুল আছল ১/১৯০; আলমাবসূত, সারাখসী ১/২১৭; আযযাখীরাতুল বুরহানিয়া ২/৪০৬; ফাতহুল কাদীর ১/৪৬৩; আদ্দুররুল মুখতার ২/১০২; রদ্দুল মুহতার ২/১০২

Read more Question/Answer of this issue