Muharram 1445 || August 2023

মিন্টু মিয়া - বগুড়া

৬২৩৭. Question

বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে আমার একটি ফার্মেসী আছে। বেচা-কেনা আলহামদু লিল্লাহ ভালোই হয়। আমরা শুধু নগদ বিক্রি করি। বাকি বিক্রি করি না। আমাদের অনেক কাস্টমার আছে, যারা নগদ টাকা দিয়ে ঔষধ কিনে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রুগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে বা অন্য কোনো কারণে কিছু ঔষধ তাদের প্রয়োজন পড়ে না। তারা সেসব ঔষধ আমাদের কাছে নিয়ে আসলে আমরা যে দামে বিক্রি করেছি তার চেয়ে ২০% কম মূল্যে তাদের কাছ থেকে ক্রয় করে থাকি। এক্ষেত্রে আমাদের মাঝে নতুন ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি হয়ে থাকে। এখন হুজুরের কাছে জানার বিষয় হল, আমাদের প্রশ্নোক্ত ক্রয়-বিক্রয় বৈধ হবে কি না? জানালে উপকৃত হব।

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু ক্রেতাগণ আপনাদের কাছে ঔষধগুলো মূলত ফেরত দিতে আসেন; বিক্রি করতে নয়, তাই তাদের সাথে নতুন ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি না করে পূর্বের মূল্যে সেগুলো ফেরত নেওয়াই নৈতিক কর্তব্য।

হাদীস শরীফে এ ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন

مَنْ أَقَالَ نَادِمًا بَيْعَتَه، أَقَالَ اللهُ عثْرَتَه يَوْمَ الْقِيَامَةِ.

ক্রয়-বিক্রয় চুক্তিতে অনুতপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে যে চুক্তি প্রত্যাহার করল আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন। (সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৫০৩৬; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৪৬০)

পণ্য ফেরত নেওয়ার ক্ষেত্রে মূল্য কম দিতে পারবে না। অবশ্য এক্ষেত্রে পণ্যগুলো পুনরায় তার থেকে কিনে নেওয়া জায়েয আছে। তখন পূর্বের বিক্রিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে ক্রয় করাও বৈধ হবে।

আলমুহীতুর রাযাবী ২/৫২২; ফাতহুল কাদীর ৬/৬৮; আলবাহরুর রায়েক ৬/৮২ ও ৬/১০০; ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃ. ১০৪

Read more Question/Answer of this issue