Jamudal Ula 1444 || December 2022

মুহাম্মাদ আলআমীন - গেণ্ডারিয়া, ঢাকা

৬০০২. Question

আমি একজন সরকারি চাকরিজীবী। যথাসম্ভব জামাতে নামায পড়ার চেষ্টা করি। তবে কখনো কখনো ব্যস্ততার কারণে যোহরের নামায অফিসে একা পড়তে হয়। আমি অফিসে যেখানে দাঁড়িয়ে নামায পড়ি তার বরাবর ডান দিকে বড় দুটি (মানুষের) ছবি ঝুলানো আছে। মুহতারামের নিকট জানতে চাচ্ছি, এর কারণে কি আমার নামাযের কোনো সমস্যা হবে?

Answer

যে ঘরে প্রাণীর ছবি ঝুলানো থাকে তাতে নামায পড়া মাকরূহ। তাই ঐ ঘরে আপনার নামায পড়াটা মাকরূহ হয়েছে। তবে তা আদায় হয়ে গেছে। পুনরায় তা পড়তে হবে না। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন-

لاَ تُصَلِّ فِي بَيْتٍ فِيهِ تَمَاثِيلُ.

যে ঘরে ছবি আছে তাতে নামায পড়ো না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৪৬১৬)

সুতরাং আপনার কর্তব্য হল, নামাযের জন্য ছবিমুক্ত কোনো জায়গা নির্বাচন করা অথবা অন্তত নামাযের সময় উক্ত ছবিগুলো ঢেকে রাখা।

প্রকাশ থাকে যে, প্রাণীর ছবি অঙ্কন করা, ছবি প্রদর্শন করা, ঘর-বাড়িতে ছবি টাঙিয়ে রাখা সবই নাজায়েয ও গুনাহের কাজ। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ القِيَامَةِ المُصَوِّرُونَ.

কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে তাদের, যারা ছবি বানায়। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৯৫০)

অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

لاَ تَدْخُلُ المَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ تَصَاوِيرُ.

ফেরেশতা ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর থাকে এবং ঐ ঘরেও না, যে ঘরে ছবি থাকে। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৯৪৯)

-আলজামেউস সাগীর, পৃ. ৮৬; আলমাবসূত, সারাখসী ১/২১১; খিযানাতুল আকমাল ১/১০৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৫৮; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১০৭

Read more Question/Answer of this issue