আবু বকর সিদ্দীক - নোয়াখালী
৫৮৫৬. Question
আমার একটা ফার্মেসি আছে। সেখানে আমার কিছু এমন কাস্টমার আছে, যারা আমার ফার্মেসি থেকে বাকিতে ঔষধ কেনে। কখনো এমন হয় যে, কারো কাছে আমার পাওনা টাকার পরিমাণ ১০ থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত হয়ে যায়। এরপর দেখা যায়, মাস শেষ হলে সে কিছু টাকা পরিশোধ করে।
যেমন কেউ ১০,০০০/- টাকা বাকি করল। আর মাস শেষে ৫,০০০/- টাকা পরিশোধ করল। এভাবে মাসের পর মাস বাকির সিলসিলা চলতেই থাকে।
এজন্য গত কিছুদিন থেকে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যারা আমার এমন কাস্টমার, তাদের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিটি বস্তু, যা তারা বাকিতে নেবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে গজচ থেকে ৫% মূল্য বৃদ্ধি করে টালী খাতায় উঠাব।
আমার জানার বিষয় হল, এভাবে মূল্য বৃদ্ধি করা শরীয়তে বৈধ হবে কি না? যদি বৈধ হয় তাহলে বিষয়টি কাস্টমারকে অবহিত করার প্রয়োজন আছে কি?
নোট : অনেক সময় কাস্টমারগণ নগদে মাল কিনলে তারা ৫% মূল্য কম দিতে চায় বা দেয়।
Answer
বাকি বিক্রির ক্ষেত্রে নগদ মূল্যের চেয়ে কিছু বেশি নেওয়া জায়েয। তাই যেসকল ক্রেতা দীর্ঘদিন বাকি রাখবে বলে মনে হয় তাদের থেকে দাম বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। তবে তা অবশ্যই ক্রেতার জ্ঞাতসারে এবং তার সাথে সুস্পষ্ট চুক্তির ভিত্তিতেই হতে হবে। তাকে কিছু না জানিয়ে নিজ থেকে খাতায় বেশি মূল্য লিখে রাখা যাবে না। আর বাকিতে বিক্রির ক্ষেত্রে মূল্য কবে পরিশোধ করবে তা-ও নির্ধারণ করে নিতে হবে।
অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ক্রেতাকে না জানিয়ে ঔষধের গায়ের দাম থেকে বাড়িয়ে মূল্য ধরা জায়েয হবে না।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, বর্ণনা ২০৮২৬; কিতাবুল আছল ২/৪৫৪; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩৫৫, ৩৯১; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যাহ, মাদ্দা ২৩৭, ২৪৬; আলবাহরুর রায়েক ৫/৩৬০