Jumadal Akhirah 1432 || May 2011

হুসাইন আহমদ - জামেউল উলূম মাদরাসা

২২০৯. Question

 

ক) বর্তমান বাজারগুলোতে যেসব পারফিউম বা বডি স্প্রে পাওয়া যায় এগুলো ব্যবহার করা ঠিক হবে কি? এবং এগুলো ব্যবহার করে নামায পড়লে নামায সহীহ হবে কি না?


খ) এক লোক জনসম্মুখে তার কিছু উন্মুক্ত জমি মসজিদের জন্য ওয়াকফ করেছে। সে বলেছিল, মসজিদের জন্য এই জমি ওয়াকফ করে দিলাম। আপনারা এতে নামায পড়তে পারেন। কিছুদিন পর ঐ লোক উক্ত জমি মাদরসার জন্য ওয়াকফ করার ইরাদা করেছে। এখন জানার বিষয় হল, মসজিদের জন্য ওয়াকফ করার পর পুনরায় তা মাদরাসার জন্য ওয়াকফ করা কি সহীহ হবে? উল্লেখ্য, মসজিদের জন্য ওয়াকফ করার পর তাতে মসজিদ নির্মাণ হয়নি এবং নামাযও আদায় করা হয়নি।


গ) এক লোকের নিকট পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে খানা বা বস্ত্র দ্বারা কসমের কাফফারা আদায় করতে পারেনি। তাই রোযা রাখা শুরু করেছে। দুদিন রোযা রাখার পর তার হাতে বেশ টাকা আসে। এখন সে ১০ জন মিসকীনকে দু বেলা খাবার খাওয়াতে সক্ষম। এখন তৃতীয় রোযা রাখার দ্বারা লোকটির কাফফারা আদায় হয়ে যাবে নাকি নতুন করে ১০ জন মিসকীনকে খাবার খাওয়াতে হবে?


 

Answer

ক : বর্তমান অধিকাংশ পারফিউম ও স্প্রেতে এ্যালকোহল থাকে। তাবে এ্যালকোহলমুক্ত পারফিউমও পাওয়া যায়। তাই পারফিউম বা স্প্রে ব্যবহার করতে চাইলে এ্যালকোহলমুক্তগুলোই খরিদ করবেন। এ্যালকোহলযুক্ত স্প্রে ব্যবহার করা অনুত্তম। নাজায়েয বা নাপাক নয়। তাই কাপড় বা শরীরে স্প্রে লাগিয়ে নামায পড়লে নামায সহীহ হয়ে যাবে।-মাবসূতে সারাখসী ২৪/৯; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/২৩০; তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিম ১/৫৫১, ৩/৬০০; মাজমুআতুল ফাতাওয়া শারইয়্যাহ ১/১৮৪, ৪/৪৫


খ : প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী জনসম্মুখে ঐ জমি মসজিদের জন্য দিয়ে দেওয়ার দ্বারা তা মসজিদের হয়ে গেছে। এবং তা দাতার মালিকানা থেকে বের হয়ে মসজিদের মালিকানায় এসে গেছে। সুতরাং পরবর্তীতে ঐ জমি মাদরাসার জন্য দেওয়া বৈধ হবে না। বরং তাতে মসজিদই করতে হবে।-হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর ২/৫৩৫; কিতাবুল ওয়াফক পৃ. ৩২৫; রদ্দুল মুহতার ৪/৩৩৮

 

গ : প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তিনটি রোযা সম্পন্ন করার আগেই যেহেতু লোকটি খানা খাওয়ানোর মাধ্যমে কাফফারা আদায়ে সক্ষম হয়েছে তাই এখন রোযা দ্বারা তার কাফফারা আদায় হবে না। কাফফারা আদায়ের জন্য এখন তাকে ১০ জন মিসকীনকে দু বেলা পেটভরে খাবার খাওয়াতে হবে। অথবা তাদের প্রত্যেককে পরিধেয় বস্ত্র দিতে হবে। আর লোকটি যে দুটি রোযা রেখেছে তা নফল হিসেবে গণ্য হবে।-কিতাবুল আছল ৩/২০৩; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৭২৭


Read more Question/Answer of this issue