Muharram 1428 || February 2007

হেলাল বিন রুহুল আমিন - তজুমদ্দীন, ভোলা

৮৯৭. Question

আমার দাদা দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থতায় ভুগছেন। সব সময় তাকে ওষুধ সেবন করতে হয় এবং তিনি একেবারেই দুর্বল। একাকী হাঁটতে পারেন না। কয়েক বছর যাবৎ আমরা তার পক্ষ থেকে রোযা রাখার জন্য একজন সাবালক, দরিদ্র ব্যক্তিকে নিয়োগ করেছি, যে পুরো রমজান আমাদের ঘরে থেকে রোযা রাখে। এখন কেউ কেউ বলছেন, দরিদ্র লোকটির রোযা কে রাখবে? এ অবস্থায় আমার দাদার রোযার বিধান কী? জানিয়ে চিন্ত-াম্ক্তু করবেন।

Answer

আপনার দাদার রোযার জন্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তা শরীয়তসম্মত হয়নি। এতে আপনার দাদার রোযা আদায় হয়নি। কাউকে দিয়ে রোযা রাখানো এবং এর বিনিমিয়ে তাকে পারিশ্রমিক হিসাবে কিছু দেওয়া সবই নাজায়েয। এতে যার পক্ষ থেকে রোযা রাখানো হয় তার ফরযও আদায় হয় না।

কেউ যদি রোযা রাখার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে তাহলে শরীয়তের নির্দেশ হল, প্রতিটি রোযার পরিবর্তে একজন ব্যক্তির পরিমিত পরিমাণে পূর্ণ দুবেলার খাদ্য দান মিসকীনকে করা। এ সম্পর্কে কুরআন মাজীদে এসেছে:

وَ عَلَی الَّذِیْنَ یُطِیْقُوْنَهٗ فِدْیَةٌ طَعَامُ مِسْكِیْنٍ

অর্থ, আর যারা রোযা রাখতে সক্ষম নয় তারা রোযার পরিবর্তে ফিদইয়া দিবে। অর্থাৎ মিসকীনকে খাদ্য দান করবে। -সূরা বাকারা ১৮৪

অতএব ওইভাবে অন্যকে দিয়ে রোযা রাখানোর দ্বারা আপনার দাদার রোযা আদায় হয়নি এবং ফিদইয়া বা কাফফারাও হয়নি।  তার রোযাগুলোর কাফফারা নতুন করে আদায় করে দিতে হবে। আর ওই লোকটি আপনার দাদার পক্ষ থেকে যেই রোযাগুলো রেখেছে সেগুলো দ্বারা কেবল তার নিজের রোযাই আদায় হয়েছে।

-আলবাহরুর রায়েক ২/২৮৪; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৬৫; রদ্দুল মুহতার ২/৪২৬

Read more Question/Answer of this issue