Rajab 1443 || February 2022

উম্মে আহমাদ - চিতলমারী, বাগেরহাট

৫৬৩৭. Question

গত রমযানের তিন মাস পূর্বে আমার একটি শিশু সন্তানের জন্ম হয়। রমযানের শুরু থেকে রোযা রেখেই আমার সন্তানকে দুধ পান করাচ্ছিলাম। কিন্তু এতে আমার প্রচণ্ড কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। মাথা ঘুরত। অন্যদিকে বুকে দুধও খুব কম আসছিল। এতে আমার সন্তানের খুব কষ্ট হচ্ছিল। সারাদিন কান্নাকাটি করত। তখন আমি রমযানের বাকি রোযাগুলো আর রাখি না।

মুফতী সাহেবের নিকট আমার জানার বিষয় হল, উল্লেখিত পরিস্থিতিতে আমার জন্য রমযানের রোযা না রাখাটা কি বৈধ হয়েছে? ছুটে যাওয়া রোযাগুলোর ক্ষেত্রে আমার জন্য করণীয় কি? শরীয়তের সঠিক সমাধান জানিয়ে উপকৃত করবেন।

Answer

দুগ্ধদানকারিনী মহিলা রোযা রেখে সন্তানকে দুধ পান করানোর কারণে যদি তার খুব বেশি কষ্ট হয়, অথবা রোযা রাখার কারণে বুকে দুধ এত কম আসে যে, সন্তানের খাবার পূর্ণ হয় না এবং সন্তান অন্য খাবারেও অভ্যস্ত নয় বিধায় তার শারীরিক ক্ষতির প্রবল আশংকা হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত মহিলার রোযা না রাখার অনুমতি আছে। হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

إِنَّ اللهَ تَعَالَى وَضَعَ عَنِ الْمُسَافِرِ الصّوْمَ، وَشَطْرَ الصّلاَةِ، وَعَنِ الحَامِلِ أَوِ الْمُرْضِعِ الصّوْمَ أَوِ الصِّيَامَ

নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের ওপর হতে রোযা (ঐ সময়ের জন্য) এবং অর্ধেক নামায রহিত করেছেন। আর গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারিনী মহিলার ওপর হতে রোযাকে (ঐ সময়ের জন্য) রহিত করেছেন।

-জামে তিরমিযী, হাদীস ৭১৫; কিতাবুল আছল; ২/১৭২ ; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৫; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৫০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৮৫; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২২

Read more Question/Answer of this issue