Jumadal Akhirah 1443 || January 2022

মনযুর আহমাদ - রাজশাহী

৫৬২৬. Question

আমাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের একটি সমিতি আছে। সমিতির টাকা দিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠানের ভেতর একটা ক্যান্টিন পরিচালনা করি। ইদানীং কোনো কোনো সদস্য নির্ধারিত তারিখে টাকা আদায়ে গড়িমসি করছে। যা সমিতির জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা চাচ্ছি, এখন থেকে যারা নির্ধারিত তারিখে টাকা আদায় না করবে তাদের থেকে বিলম্ব ফি উসূল করব। হুজুরের কাছে জানতে চাই, আমাদের এই পদ্ধতি শরীয়তসম্মত হবে কি না? আর এই টাকা সমিতির সদস্যদের কল্যাণে ব্যয় করা যাবে কি না?

Answer

সমিতির সকল সদস্যের কর্তব্য, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার চাঁদা পরিশোধ করে দেয়া। কারণ সংস্থার সদস্যপদ নেয়ার মানে হল তার নিয়মনীতি মানার একটি অঙ্গিকার প্রদান। আর অঙ্গিকারের খেলাফ করা মুমিনের জন্য জায়েয নয়। তথাপি কেউ যদি চাঁদা আদায়ে বিলম্ব করে তবে এ কারণে অতিরিক্ত ফি নেয়া বৈধ নয়। কারো কাছ থেকে নিয়ে থাকলে সমিতির জন্য তা ব্যবহার করা বৈধ হবে না। বরং এটা উক্ত সদস্যকে ফেরত দিয়ে দিতে হবে।

উল্লেখ্য, যার টাকা যতদিন খাটবে সে সেই অনুপাতে লাভ পাবে। এমন নিয়ম করা যেতে পারে। এছাড়া নিম্নের দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করেও দেখা যেতে পারে-

১. এক মাস কিস্তি বিলম্ব করলে পেছনের বকেয়া, চলতিমাসসহ আরো এক মাসের অগ্রীম আদায় করা বাধ্যতামূলক করে দেয়া। এর ব্যতিক্রম হলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

২. সদস্যপদ বাতিল করণ প্রক্রিয়া। একাধারে ছয় মাস (অথবা অন্য কোনো সংখ্যা) বাকি হয়ে গেলে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বার্ষিক হিসাব শেষে তার অংশের লভ্যাংশসহ তার সকল পাওনা দিয়ে দিতে হবে।

-আলবাহরুর রায়েক ৫/৪১; ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ৩/৪২৭; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৬১ 

Read more Question/Answer of this issue