Zilhajj 1442 || July 202

সুহাইল আহমাদ - গেণ্ডারিয়া

৫৪২০. Question

কুরবানীর ঈদের দিন যোহরের নামাযের সময় আমি আমার চাচাকে নামায পড়ার জন্য ডাকলে তিনি আমাকে বললেন, কাপড়ে রক্ত রয়েছে, তাই একটু বিলম্ব করে কাপড় পাল্টিয়ে নামায পড়ব।

আমি বললাম, আপনার কাপড়ে যে রক্ত রয়েছে তা তো এক দিরহাম বা তার চেয়ে কম। আর এই পরিমাণ রক্ত তো মাফ (معفو عنه)

একথা শুনে তিনি বললেন, মাফ (معفو عنه) দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে নামায পড়ার পর যদি এক দিরহাম বা তার চেয়ে কম পরিমাণ রক্ত কাপড়ে দেখা যায় তাহলে নামায আর পুনরায় পড়তে হবে না। তবে নামাযের পূর্বে যদি কাপড়ে এক দিরহাম বা তার চেয়ে কম রক্ত দেখা যায় তাহলে তা না ধুয়ে নামায পড়লে নামায হবে না।

হুজুরের কাছে জানতে চাচ্ছি, তার কথা সঠিক কি না? এবং সত্যিই কি তিনি যদি ঐ অবস্থায় নামায পড়তেন তাহলে তার নামায হত না? নাকি নামায হয়ে যেত তবে মাকরূহ হত? আর মাকরূহ হলে মাকরূহে তাহরীমি হবে, না তানযীহী? বিষয়গুলো সাফ করার অনুরোধ করছি।

Answer

এক দিরহাম (অর্থাৎ হাতের তালুর গভীরতা) সমপরিমাণ তরল নাজাসাতে গালিজা শরীর বা কাপড়ে লাগার বিষয়টি যদি নামাযের পূর্বে জানা যায় তাহলে তা ধুয়ে নেওয়া ওয়াজিব। ধোয়া সম্ভব হওয়া সত্ত্বেও এ পরিমাণ নাপাকী নিয়ে নামায পড়লে গুনাহ হবে এবং মাকরূহে তাহরীমির সাথে তা আদায় হবে। আর যদি এক দিরহামের চেয়ে কম পরিমাণ নাপাকী লেগে থাকার কথা জানা যায় তাহলে তা ধুয়ে নেওয়া উত্তম। না ধুয়ে নামায পড়লে মাকরূহে তানযীহী হবে। তবে জেনেশুনে বিনা ওজরে নাপাকী নিয়ে (যদিও তা সামান্য হয়) নামায পড়া কিছুতেই সমিচীন নয়। মনে রাখতে হবে, নামাযের ফরয আদায় হয়ে যাওয়া এক কথা এবং তা পরিপূর্ণ পবিত্রতার সাথে আদায় হওয়া ভিন্ন কথা। চেষ্টা করতে হবে, নামায যেন পূর্ণ পবিত্রতার সাথে সুন্নত মোতাবেক আদায় হয়।

Ñমুখতারাতুন নাওয়াযিল ১/১৬৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৪৬; ফাতহুল কাদীর ১/১৭৮; আলজাওহারাতুন নায়্যিরা ১/৪৯; আলবাহরুর রায়েক, মিনহাতুল খালেক ১/২২৮

Read more Question/Answer of this issue