মুহা. আব্দুল আজিজ - নারায়ণগঞ্জ
১১৭৯. Question
ক. জনৈক ব্যক্তির ‘অতনে আসলি’ বি-বাড়িয়া আর তার ‘অতনে ইকামত’ ঢাকার যাত্রাবাড়ী। এখন সে যাত্রাবাড়ী থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে সফর করল, যোহর বা আসরের সময় গাড়ি বি-বাড়িয়া থামাল শুধু নামাযের জন্য, নামায শেষ করে আবার যাত্রা শুরু করবে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। এখন যোহর বা আসার বি-বাড়িয়ায় কসর পড়বে, না পুরো পড়বে?
খ. আমার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের পাগলায়। আমি জাহাজে চাকরি করি। জাহাজ কখনও চট্টগ্রাম বন্দরে, কখনও খুলনা, বরিশাল আবার কখনও ঢাকায় আসে। কোথাও দশ দিন, কোথাও পনের দিন আবার কোথাও ২০/২৫ দিন থাকতে হয়। জাহাজ ঢাকায় আসলেও আমি বাড়িতে আসি না। বরং ছয়-সাত মাস পর পর আসা হয়। এমতাবস্থায় আমি যখন একা নামায পড়ব, কসর পড়ব না পুরো পড়বো?
বি. দ্র. উভয় মাসআলা ফিকহি কিতাবের ইবারতসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
Answer
ঐ ব্যক্তির বাড়ি যে এলাকায় সে এলাকা দিয়ে গাড়ি অতিক্রম করলে সে মুকীম বলে গণ্য হবে। কিন্তু গাড়িটি যদি তার বাড়ির এলাকায় প্রবেশই না করে তবে সে মুসাফিরই থাকবে। -তাতারখানিয়া ২/২০
খ. জাহাজের অবস্থান ভেদে মুসাফির ও মুকীমের হুকুমও ভিন্ন হবে। ১. জাহাজ যতই বড় হোক চলন্ত অবস্থায় সেখানে ইকামতের নিয়ত শুদ্ধ নয়। তাই চলন্ত জাহাজে ১৫ দিন বা তার বেশি অবস্থানের নিয়ত করলেও আরোহী ব্যক্তি মুসাফির থাকবে। তদ্রূপ গভীর সমুদ্রে বা উপকূলের অনেক দূরে নোঙ্গর করলেও সেখানে ইকামতের নিয়ত শুদ্ধ নয়। ২. জাহাজ কোন বন্দর বা এলাকায় থামলে তাতে অবস্থানের হুকুম ঐ বন্দর বা এলাকায় অবস্থানের মতই। অর্থাৎ ঐ বন্দর বা এলাকায় নিজ আবাসস্থল হলে বন্দরে ভেড়ামাত্রই মুকীম হয়ে যাবে। আর যদি তা না হয় তাহলে সেখানে ১৫ দিন বা তার বেশি অবস্থানের নিয়ত করে তবেও মুকীম হবে। আর যদি ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত হয় তাহলে মুকীম হবে না।
যদি আরোহী ব্যক্তির একথা জানা না থাকে যে, তাকে এ বন্দরে কত দিন অবস্থান করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষ থেকেও তা জানা সম্ভব না হয় তবে সে ক্ষেত্রেও ঐ বন্দরে লোকটি মুসাফির বলে গণ্য হবে। (যদি এটি তার নিজস্ব এলাকায় না হয়।) -ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৭, আলবাহরুর রায়েক ২/১৩১