মুহাম্মাদ আমানুল্লাহ - বরিশাল
২১৪৬. Question
(ক) আমার আম্মা আমার মরহুম পিতার মীরাসসূত্রে বাড়ির জমির ১১ কড়া (২২ শতাংশ) জমির মালিক হয়েছেন। জায়গাটির বর্তমান মূল্য ৬-৭ লক্ষ টাকা। এছাড়া আম্মার আর কোনো সম্পদ, অলংকারাদি বা নগদ অর্থ নেই। আম্মার ভরণ-পোষণ আমরা ছেলেরাই করি। উপরোক্ত জায়গাটি বর্তমানে খালি পড়ে আছে। চারদিকে দেয়াল দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। জানার বিষয় এই যে, আমার আম্মার উপর কি হজ্ব করা ফরয?
(খ) আমি আমার পিতার মীরাসসূত্রে ৫ কাঠা জমির মালিক হয়েছি। জমিটি আমি ৯ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। চুক্তি হয়েছিল, ৫ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু ৪ মাসে ৬ লক্ষ টাকা পরিশোধের পর বাকি টাকা এখনও পরিশোধ করেনি। এক বছরেরও বেশি সময় দিচ্ছি-দিব বলে পার করে দেয়।
এখন জিজ্ঞাসার বিষয় হল, আমাকে উক্ত বকেয়া ৩ লক্ষ টাকার যাকাত আদায় করতে হবে কি না? দিলে কখন আদায় করব? উসূল হওয়ার পর বিগত সময়ের যাকাত দিতে হবে কি?
Answer
(ক) প্রশ্নপত্রের বিবরণ ও মৌখিক বর্ণনা অনুযায়ী আপনার আম্মার উপর হজ্ব ফরয হয়েছে। কারণ মীরাসসূত্রে পাওয়া জমিটি প্রয়োজনের অতিরিক্ত, তার বসবাস ও ভরণ-পোষণে লাগছে না। আর সেটির মূল্যও হজ্ব আদায়ের জন্য। সুতরাং আপনার আম্মাকে ফরয হজ্ব আদায় করতে হবে।
(খ) প্রশ্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে জমির মূল্য বাবদ বকেয়া ৩ লক্ষ টাকা হাতে পাওয়ার আগে তার উপর যাকাত ফরয নয়। হস্তগত হওয়ার পর এক বছর অতিবাহিত হলে তার যাকাত দিতে হবে। তবে আপনি যদি পূর্ব থেকে যাকাতের নেসাবের মালিক হয়ে থাকেন তাহলে আপনার যাকাত-বর্ষ শেষ হওয়ার পর অন্যান্য সম্পদের সাথে মিলিয়ে ঐ টাকারও যাকাত আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে ঐ টাকার উপর আলাদাভাবে এক বছর অতিবাহিত হওয়া লাগবে না।
(ক) বাদায়েউস সানায়ে ২/২৯৮; ফাতহুল কাদীর ২/৩২২; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৯৩; মানাসিক মোল্লা আলী কারী ৪৪; আলমাসালিক ১/২৬৩; আলবাহরুল আমীক ১/৩৮৪; গুনইয়াতুন নাসিক ২০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১৭ (খ) শরহু মুখতাছারিত তাহাবী ২/৩৪১; বাদায়েউস সানায়ে ২/৯০; আততাজরীদ ৩/১২৬২; তুহফাতুল ফুকাহা ১/২৯৪; ফাতাওয়া দারুল উলূম ৬/১৩৫; আহসানুল ফাতাওয়া ৪/২৭১