মুহাম্মাদ রকীবুল ইসলাম - শিবচর, মাদারীপুর
১১৭৩. Question
ক. অনেক মহিলাকে দেখা যায় জায়নামাযের পাশে একটি মাটির ঢিলা বা পাথর রেখে দেয় এবং নামায বা কুরআন তেলাওয়াত করার আগে তা দ্বারা তায়াম্মুম করে নেয়। এরপর নামায পড়ে। সাধারণত শীতকালেই এমনটি বেশি করতে দেখা যায়। পানি থাকা সত্ত্বেও এভাবে পবিত্রতা অর্জন করে নামায পড়লে নামায হবে কি?
খ. গাছ ও ফলকে মানুষের বদনজর থেকে বাঁচানো জন্য গাছে ভাঙ্গা বা চুনকালী করা পাতিল, ঝাড়ু ইত্যাদি বাঁধা যাবে কি?
গ. চশমা চোখে দিয়ে নামায আদায় করা যাবে কি?
Answer
ক. তায়াম্মুম হল ওযুর বিকল্প ব্যবস্থা, যা একমাত্র শরীয়ত-স্বীকৃত ওযরের ক্ষেত্রে অবলম্বন করা যেতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত ওযু করার সামর্থ থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তায়াম্মুম দ্বারা পবিত্রতা হাসিল হয় না। অতএব প্রশ্নোক্ত মহিলাটির ওযুর জন্য পানি ব্যবহার করলে যদি অসুস্থ হওয়া বা রোগ বৃদ্ধি পাওয়া কিংবা রোগ দির্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা না থাকে তবে সাধারণ ঠান্ডা বা ওযুর কষ্টের কারণে তায়াম্মুম করলে তা সহীহ হবে না। আর এ তায়াম্মুম দ্বারা নামায আদায় করলে সে নামাযও সহীহ হবে না। -সূরা নিসা ৪৩, আলবাহরুর রায়েক ১/১৪০, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/১৪৩
খ. বদনজর থেকে হেফাজত থাকার জন্য কুরআন হাদীসের দুআগুলো পড়বে। এ ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা উত্তম কাজ নয়। তবে এগুলোকে সাধারণ উসীলা হিসেবে ব্যবহার করা নাজায়েযও নয়। -ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৪২৫, মাযমাউয্ যাওয়ায়েদ ৫/১৮৭, কাশফুল আসতার ৩/৪০৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৫৬
গ. চশমা চোখে দিয়ে সেজদা করলে যদি কপাল ও নাক যথাযথভাবে জমিনে লাগানো যায় তবে চশমা চোখে দিয়ে নামায পড়তে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু যদি চশমার কারণে জমিনে নাক রাখা না যায় তাহলে বিশেষ ওযর ব্যতীত এ ধরনের চশমা পড়ে নামায আদায় করা যাবে না। জেনে রাখা প্রয়োজন যে, বিনা ওযরে নাক জমিনে না লাগিয়ে সেজদা করা মাকরূহ তাহরীমী। -সহীহ মুসলিম ১/১৯৩, আলবাহরুর রায়েক ১/৩১৭, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৮, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৫০৬