Jumadal Akhirah 1429 || June 2008

ফযলুর রহমান - ফেনী

১২৯৬. Question

আমি একটি যুব সংগঠনের সদস্য। আমাদের এ সংগঠনে অনেক আলেম সদস্য রয়েছে। উক্ত সংগঠনের টাকা বাইয়ে সালাম তথা আগাম খরিদের ভিত্তিতে বিভিন্ন লোকের কাছে লগ্নি করা হয়। যেমন : ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা দেওয়া হয় তার পরিবর্তে ৫ মাস পর ৩ মণ ধান দিবে। কিন্তু পূর্বশর্ত অনুযায়ী যখন লগ্নি গ্রহিতার কাছ থেকে ধান উসুল করার নির্ধারিত তারিখ আসে তখন তার থেকে ধান উসুল করা ব্যতিতই ধানের পরিবর্তে মার্কেট রেইট হিসেবে ধানের মূল্য গ্রহণ করা হয়।

তাই আমাদের সংগঠনের কোনো কোনো আলেম বলেন, লগ্নিগ্রহিতার কাছ থেকে ধান কবজা করা ব্যতিত তার পরিবর্তে ধানের মূল্য উসুল করা জায়েয হবে না। আবার কেউ কেউ বলেন, জায়েয হবে। তাই প্রকৃতপক্ষে উপরোক্ত মাসআলার ক্ষেত্রে সঠিক সমাধান কী? জানতে চাই।

Answer

বাইয়ে সালাম তথা আগাম খরিদ এর ক্ষেত্রে পণ্য হস্তগত করার আগে তা যেমনিভাবে অন্য কোথাও বিক্রয় করা জায়েয নেই তদ্রূপ বিক্রেতার নিকটও পুনঃবিক্রি করা জায়েয হবে না। তাই আগাম খরিদ (বাইয়ে সালাম) চুক্তির সময় বিক্রেতার নিকট আবার পণ্য বিক্রির শর্ত করাও না জায়েয।

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিক্রেতা ধান  হস্তগত না করে তার মূল্য গ্রহণের শর্ত করার অর্থ দাড়ায়, পণ্যটি তার নিকট পুনরায় বিক্রির শর্ত করা, যা না জায়েয।

অবশ্য পূর্ব থেকে এ ধরনের শর্ত না থাকলে ক্রেতা ধান বুঝে নেয়ার পর চাইলে তা যেমনিভাবে অন্য কোথাও বিক্রি করতে পারে তদ্রূপ লগ্নিগ্রহিতার কাছেও বিক্রি করতে পারবে।

-বাদায়েউস সানায়ে ৪/৪৫১; ফাতহুল কাদীর ৬/২৩০; আল বাহরুর রায়েক ৬/১৬৪; আদ্দুররুল মুখতার ৫/২১৮

Read more Question/Answer of this issue