মুহাম্মদ অলিউল্লাহ - ছাগলনাইয়া, ফেনী
১৩৬৩. Question
নাপাকী কয় প্রকার ও কী কী? এবং নাপাকীর ক্ষমাযোগ্য পরিমাণ কতটুকু? নাপাকী থেকে পবিত্র হওয়ার পদ্ধতি কয় প্রকার ও কী কী? বিশেষ করে নিম্নের ইবারত এর হল করলে খুশি হব
قال في شرح التنوير : أما لو غسل في غدير وصب عليه الماء كثيرا أو جرى عليه الماء طهر مطلقا بلا شرط عصر وتجفيف وتكرار غمس.
Answer
নাপাকী প্রধানত দুই প্রকার। ১. নাজাসাতে গলীযা। যে নাপাকীর হুকুম শক্ত। ২. নাজাসাতে খফীফা। যে নাপাকীর হুকুম কিছু্টা হালকা। নাজাসাতে গলীযা আবার দুই প্রকার। ১. তরল নাপাকী যেমন মানুষের পেশাব, রক্ত, বীর্য ইত্যাদি। ২. গাঢ় বা শক্ত নাপাকী যেমন মানুষের মল, পশুর পায়খানা ইত্যাদি।
নাজাসাতে গলীযার মধ্যে যেগুলো তরল তা এক দেরহাম (তথা গোলাকৃতভাবে কাঁচা টাকা পরিমাণ, যা হাতের তালুর নীচু স্থান পরিমাণ হয়) পরিমাণ বা তার কম শরীর বা কাপড়ে লেগে গেলে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না। তদ্রূপ নাজাসাতে গলীজার মধ্যে শক্ত নাপাকী এক সিকি পর্যন্ত অর্থাৎ ৪.৩৭ গ্রাম পরিমাণ বা এর কম কাপড় বা শরীরে লাগলে তা নাপাক হবে না। অবশ্য নাপাকী দূর করা সম্ভব হলে এ পরিমাণ নাজাসাতে গলীযা নিয়ে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী হবে।
আর নাজাসাতে খফীফা শরীর বা কাপড়ের যে অঙ্গে লেগেছে তার চার ভাগের এক ভাগের কম হলে কাপড় নাপাক হবে না। অবশ্য এ নাপাকী ধোয়ার ব্যবস্থা থাকলে তা নিয়ে নামায আদায় করা মাকরুহ তাহরীমী হবে।
নাপাক থেকে পবিত্র করার পদ্ধতিসমূহ :
গাঢ় নাপাকী : যেমন রক্ত, পায়খানা শরীর বা কাপড়ে লাগলে তা এমনভাবে ধৌত করতে হবে যেন নাপাকী পরিপূর্ণ দূর হয়ে যায় । এক্ষেত্রে তিন বার ধোয়া জরুরি নয়। তিন বারের কমে যদি নাপাকী চলে যায় তবেও পাক হয়ে যাবে। অবশ্য এক্ষেত্রেও তিন বার ধোয়া ভাল।
তরল নাপাকী লাগলে তা বালতি বা ছোট বদ্ধ জায়গার পানি দ্বারা পবিত্র করতে চাইলে তিন বার ধৌত করা এবং প্রত্যেক বার নিংড়ানো জরুরি।
হ্যাঁ, যদি এমন কাপড় বড় পুকুরে ভালোভাবে ধৌত করা হয় কিংবা ছোট বদ্ধ জায়গায় না ধুয়ে নাপাকীর উপর অধিক পরিমাণ পানি ঢালা হয় কিংবা এ কাপড়ের উপর দিয়ে প্রচুর পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয়ে যায় যার দ্বারা নাপাকী দূর হয়ে যাওয়ার প্রবল ধারণা হয় তবে তিন বার ধোয়া ও নিংড়ানো ছাড়াই পাক হয়ে যায়। প্রশ্নোক্ত ফাতাওয়া শামীর ঐ ইবারতটি এক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অর্থাৎ তরল নাপাকী লাগলে তা তিন বার ধোয়া ও নিংড়ানো ব্যতীত পবিত্র করার নিয়ম বলা হয়েছে।