মুহাম্মদ যাকারিয়া - বিক্রমপুর
১৩৫১. Question
আমার দাদী অসুস্থ। তিনি বার্ধক্যে পৌঁছেছেন। বয়স ৭৫ এর মতো হবে। রোযা রাখতে সক্ষম নন। আর নামায কত রাকাত পড়লেন তা মনে রাখতে পারেন না। ভবিষ্যতে সুস্থ হবেন তাও আশা করা যায় না। এখন আমার প্রশ্ন হল, তার ব্যক্তিগত কিছু অর্থকড়ি আছে। সেখান থেকে নামায রোযার ফিদিয়া দিলে তার বিগত নামায রোযার ফিদিয়া আদায় হবে কি? নাকি তার ইন্তেকালের পর ওয়ারিসগণ তার মিরাছ থেকে ফিদিয়া আদায় করবে।
উল্লেখ্য, তিনি বিগত ৩-৪ বছর যাবত অসুস্থ। রোযা রাখতে পারেন না তবে মাঝে মাঝে কিছুটা সুস্থ হন তখন নামায পড়তে পারেন। ঘটনাক্রমে এবার রমযান মাসে তিনি একদিন রোযা রেখেছিলেন। ইফতারের পর বেহুশ হয়ে যান। এমনকি মৃত্যুর সম্মুখীন হয়ে পড়েন। তাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আল্লাহ তাআলার রহমতে এখন কিছুটা সুস্থ, কিন্তু রোযা রাখার মতো সুস্থ নন। এমনকি মাঝে মাঝে নামায পড়তেও সক্ষম নন। এখন কী করণীয় বিস্তারিত জানাবেন।
Answer
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী আপনার দাদীর যেহেতু রোযা রাখার শক্তি নেই পরবর্তীতেও সে সামর্থ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই তাই তিনি জীবদ্দশাতেই তার রোযার ফিদিয়া আদায় করতে পারবেন। আর তিনি যেহেতু এখনো অন্যের সহায়তা নিয়ে হলেও নামায আদায়ে সক্ষম তাই মোটামুটি সুস্থ অবস্থায় যথাসম্ভব ছুটে যাওয়া নামাযগুলোর কাযা করতে হবে। কাযা না করে কাফফারা আদায় করলে তা যথেষ্ট হবে না। হাঁ, তাঁর মৃত্যুর পর অবশিষ্ট কাযা নামাযের কাফফারা আদায়ের ব্যাপারে অসিয়ত করে যেতে পারেন।
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০৩; ফাতহুল কাদীর ২/২৭৬; আলবাহরুর রায়েক ২/২৮৬; রদ্দুল মুহতার ২/৭৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৭