মুহাম্মাদ হারুন - যশোর
৪২০১. Question
আমাদের প্রতিবেশী এক লোক বিদেশে চাকুরী করে। গত বছর সে বাড়িতে এসে একটা জমি পছন্দ করে এবং আমাকে বলে, এবার বাহিরে গিয়ে সে টাকা পাঠাবে। আমি যেন জমিটা তাকে কিনে দেই। বিদেশে গিয়ে সে আমার একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে একটা জটিলতার কারণে জমিটি কিনতে দেরি হচ্ছে দেখে ঐ টাকা থেকে প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকা আমার ব্যবসায় লাগিয়ে ফেলি। এখন ঐ জমির মালিক জমিটি বিক্রি করবে না। তাই এই ১৫ লক্ষ টাকা ঐ ব্যক্তিকে ফেরত দিয়ে দিব। এখন পরিচিত একজন বলছেন, তার যে পরিমাণ টাকা আমার ব্যবসায় খাটিয়েছি সে পরিমাণ টাকার লভ্যাংশ আমার জন্য হালাল হবে না।
মুফতী সাহেবের কাছে বিনীত নিবেদন, এ ব্যাপারে শরীয়তের নির্দেশনা কী তা জানাবেন। যদি তা আমার জন্য বাস্তবেই হালাল না হয় তাহলে আমি তা কী করব? ব্যবসায় তো আমার পরিশ্রম আছে। আমি তাহলে কেন নিতে পারব না? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
Answer
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে লোকটির পাঠানো টাকাগুলো আপনার কাছে আমানত হিসেবে ছিল। ঐ ব্যক্তির অনুমতি ব্যতীত টাকাগুলো ব্যবসায় খাটানো জায়েয হয়নি। তাই ঐ টাকাগুলো থেকে অর্জিত মুনাফা আপনার জন্য হালাল হবে না। এই লাভ পুরোটা গরীব-মিসকীনকে সদকা করে দিতে হবে।
উল্লেখ্য যে, কোনো কাজ বা ব্যবসায় পরিশ্রম থাকলেই পারিশ্রমিক বা লভ্যাংশ বৈধ হয়ে যায় না। বরং ঐ কাজটি জায়েয হওয়া এবং তা যদি ব্যবসা হয়ে থাকে তবে ব্যবসার চুক্তি ও মূলধন বৈধ হওয়া আবশ্যক। অন্যথায় অর্জিত আয় হালাল হবে না। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার মূলধন খেয়ানতের টাকা থেকে এসেছে। তাই এর লভ্যাংশ নেওয়া জায়েয হবে না। তা সদকা করে দিতে হবে।
-ফাতহুল কাদীর ৬/১০৪; আলবাহরুর রায়েক ৬/৯৭; রদ্দুল মুহতার ৫/৯৭