Shaban-Ramadan 1442 || March-April 2021

আবদুল মান্নান - চট্টগ্রাম

৫৩৪৫. Question

আমি ভার্সিটির একজন ছাত্র। আগে দ্বীনের বুঝ না থাকায় নামায-রোযা ঠিকমত আদায় করতাম না। এখন দ্বীনের বুঝ পেয়েছি। তাই পিছনের জীবনে ছেড়ে দেওয়া নামায-রোযা কাযা করা শুরু করেছি। তখন অনেক রমযানে এমন হত যে, বাসার জোরাজুরির কারণে ভোর রাতে সাহরী করে রোযা রাখতাম। পরে ভার্সিটিতে এসে ভেঙ্গে ফেলতাম। এক আলেমের মুখে শুনেছি, এভাবে রোযা ভাঙ্গলে শুধু কাযা করলে হয় না; বরং কাফফারা অর্থাৎ এক রোযার জন্য ৬০টি রোযা রাখতে হয়। জানার বিষয় হল, আমি তো এভাবে অনেক রোযা ভেঙ্গেছি। এখন আমি এত কাফফারা কীভাবে আদায় করব? শরীয়তে আমার জন্য কোনো ছাড় আছে কি?

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি বিনা ওযরে যতগুলো রোযা ভেঙ্গেছেন প্রত্যেকটির জন্য একটি করে কাযা আদায় করবেন। আর সবকটি রোযার জন্য একটি কাফফারা আদায় করবেন। যেটি পিছনের সবগুলো রোযার জন্য যথেষ্ট হবে। প্রতিটির জন্য ভিন্ন ভিন্ন কাফফারা আদায় করতে হবে না।

প্রকাশ থাকে যে, বিনা ওযরে রোযা ভাঙ্গা অনেক বড় অন্যায়। পরবর্তীতে এর কাযা সম্ভব হলেও এর যথাযথ ক্ষতিপূরণ কোনোভাবেই সম্ভব হয় না। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ

مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ رُخْصَةٍ لَمْ يُجْزِهِ صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ.

যে ব্যক্তি সফর অথবা অসুস্থতা ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবেই রমযানের কোন রোযা ভঙ্গ করবে সে আজীবন রোযা রাখলেও এর সত্যিকারের বদলা হবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৯৮৯৩)

সুতরাং সতর্ক থাকতে হবে, যেন সামনে এমন না হয়। আর পিছনের ভুলের জন্য কাযা-কাফফারার পাশাপাশি তাওবা-ইস্তেগফার করে নিতে হবে।

Ñকিতাবুল আছল ২/১৫৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬০; খিযানাতুল আকমাল ১/৩২১; ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ১/১০২; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; আদ্দুররুর মুখতার ২/৪১৩

Read more Question/Answer of this issue