Jumadal Ula-Jumadal Akhirah 1442 || January 2021

হাফিযুর রাহমান - বংশাল, ঢাকা

৫২৭৪. Question

এক ব্যক্তি অনেক অসুস্থ ছিল। সে সময় তার গোসল করা নিষেধ ছিল। তখন তাকে তায়াম্মুম করে নামায পড়তে হয়। এই অবস্থায় একদিন তার গোসল ফরয হয়। তার যেহেতু গোসল করা নিষেধ তাই সে তখন তায়াম্মুম করেই নামায পড়ে। এর পরের দিন বিকালে সে সুস্থ হয়ে যায়। সে এখন গোসল করলে কোনো সমস্যা নেই। এ অবস্থায় সে কী করবে? আগের দিন গোসল ফরয হওয়ার পর থেকে এত দিন তো সে তায়াম্মুম করে নামায পড়ে আসছিল। এখন শুধু অযু করেই নামায পড়তে পারবে? নাকি এখন তাকে ঐ ফরয গোসল করতে হবে? সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।

Answer

ঐ ব্যক্তি যতদিন গোসল করতে সক্ষম ছিল না, ঐ পর্যন্ত ফরয গোসলের পরিবর্তে তার জন্য তায়াম্মুম যথেষ্ট ছিল। কিন্তু গোসল করার মত সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তার তায়াম্মুম দ্বারা অর্জিত পবিত্রতা বাতিল হয়ে গেছে। এরপর শুধু অযু করলে হবে না; বরং প্রথমে তাকে ফরয গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। অবশ্য তায়াম্মুম দ্বারা পূর্বে আদায়কৃত সকল ইবাদত যথাযথভাবেই আদায় হয়েছে। সেগুলো পুনরায় পড়তে হবে না।

আলী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

إِذَا أَجْنَبَ فَلَمْ يَجِدِ الْمَاءَ تَيَمّمَ وَصَلّى حَتّى يُدْرِكَ الْمَاءَ، فَإِذَا أَدْرَكَ الْمَاءَ اغْتَسَلَ.

কারো গোসল ফরয হওয়ার পর সে যদি পানি না পায় (অথবা পানি ব্যবহার করতে সক্ষম না হয়) তবে সে তায়াম্মুম করে নামায পড়বে। কিন্তু যখন পানি পেয়ে যাবে (অথবা পানি ব্যবহার করতে সক্ষম হবে) তখন তাকে গোসল করতে হবে। (আসসুনানুল কুবরা, বাইহাকী, বর্ণনা ১০৩৭; মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক, বর্ণনা ৯১৯, ৯২৪)

-কিতাবুল আছল ১/৮৮, ৯০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৩; আলবাহরুর রায়েক ১/১৬৯; রদ্দুল মুহতার ১/২৫৫

Read more Question/Answer of this issue