যয়নুল আবেদীন - সিলেট
৫২৫৮. Question
এক ব্যক্তি বিমানে করে নিজ দেশ থেকে উমরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। তার ইচ্ছা ছিল যে, বিমানে ইহরাম করে নেবেন। কিন্তু যখন ইহরাম করার সময় এল তখন তার স্মরণ হল যে, তিনি তো ইহরামের কাপড় বাড়িতে ভুলে রেখে গেছেন। তাই তিনি ইহরাম ছাড়াই জিদ্দা পৌঁছে তার এলাকার একজন আলেমের সাথে যোগাযোগ করেন। ঐ আলেম তাকে বলেন যে, কাছের কোনো মীকাতে গিয়ে ইহরাম করে আসতে হবে। এবং জরিমানা স্বরূপ একটি পশু জবাই করতে হবে। কিন্তু তিনি এসব কিছু না করে জিদ্দায় ইহরাম করে ফেলেন। এবং এভাবেই উমরা শেষ করেন। প্রশ্ন হল, এসব ক্ষেত্রে জিদ্দায় ইহরাম করার দ্বারা কি উমরা সহীহ হয়ে যায়, নাকি মীকাতের দিকে যাওয়া জরুরি? যদি মীকাতের দিকে যাওয়া আবশ্যক হয় তাহলে কোন্ মীকাতের দিকে যাবে? ইহরাম ছাড়া যে মীকাত অতিক্রম করেছে, সেই মীকাতে যেতে হবে, না অন্য কোনো মীকাতে গিয়ে ইহরাম করলেও হবে?
Answer
ইহরামের নিয়ম হল, হজ¦ বা উমরার নিয়তে তালবিয়া পাঠ করা। ইহরাম সম্পন্ন হওয়ার জন্য সেলাইবিহীন কাপড় পরা শর্ত নয়। বিমানে মীকাত অতিক্রম করার সময় কারো কাছে যদি সেলাইবিহীন কাপড় না থাকে তাহলে সেলাইযুক্ত কাপড় পরা অবস্থায়ই ইহরাম করে নেবে। তাই প্রশ্নোক্ত লোকটির জন্য মীকাত অতিক্রমের সময় বিমানেই ইহরাম করে নেওয়া জরুরি ছিল। তিনি জিদ্দায় পৌঁছে ইহরামের কাপড় পরতে পারতেন। সেক্ষেত্রে ১২ ঘণ্টার কম সময় সেলাইযুক্ত কাপড় পরার কারণে তাকে শুধু এক ফিতরা সমপরিমাণ সদকা করতে হত; অন্য কিছু করা লাগত না। কিন্তু যেহেতু তিনি তা করেননি; বরং ইহরাম করা ছাড়াই মীকাত অতিক্রম করে জিদ্দা চলে গেছেন তাই তার জন্য জিদ্দা অবতরণের পর কোনো মীকাতে গিয়ে ইহরাম করা জরুরি ছিল। এসব ক্ষেত্রে যে কোনো মীকাতে গিয়ে ইহরাম করা যায়।
অবশ্য ইহরাম ছাড়া যে মিকাত অতিক্রম করা হয়েছে তাতে গিয়ে ইহরাম করা উত্তম। কিন্তু তিনি যেহেতু তাও করেননি; বরং জিদ্দায়ই ইহরাম করে উমরাহ সম্পন্ন করে ফেলেছেন তাই তার উপর একটি দম ওয়াজিব হয়েছে’ যা হেরেমের এলাকায় আদায় করতে হবে।
-রদ্দুল মুহতার ২/৪৭৯, ৪৮১; মানাসকি মোল্লা আলী আলকারী, পৃ. ৯৪; গুনইয়াতুন নাসিক, পৃ. ৭১