Safar 1442 || October 2020

মুহাম্মদ রাহাত করীম - চাটখিল, নোয়াখালী

৫২০৯. Question

পাঁচ বছর আগে আব্বুর সাথে ওমরা করার তৌফিক হয়। সেটা ছিল আমাদের প্রথম ওমরা। আমরা যখন তাওয়াফ ও সায়ী শেষ করে ইহরাম থেকে বের হওয়ার জন্য চুল কাটবো। তখন একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে সংশয় দেখা দেয়। বিষয়টি হল, আমরা দুজনই তো ইহরাম অবস্থায় আছি। আর শুনেছি যে, এক মুহরিম আরেক মুহরিমের চুল কাটলে দম দিতে হয়। এজন্য  আব্বু মারওয়াতে এক ব্যক্তিকে, যে আগেই হালাল হয়ে গিয়েছিল অনুরোধ করলে সে কাঁচি দ্বারা আমাদের উভয়ের অল্প কিছু চুল কেটে দেয়। পরে আমরা হোটেলে এসে পূর্ণ মাথার চুল কাটি। প্রশ্ন হল, আমাদের এভাবে হালাল হওয়া সহীহ হয়েছে কি না? অল্পস্বল্প চুল কাটার দ্বারাও কি হালাল হওয়া যায়?

Answer

হজ¦ বা উমরা আদায়কারী হলকের আগ পর্যন্ত সকল কাজ আদায় করার পর নিজে হলক করার আগে অন্যের চুল কেটে দিতে পারবে। এর দ্বারা তার উপর কোনো ধরনের জরিমানা আসবে না। আর যদি মাথা মুণ্ডানো ছাড়া অন্য কাজ বাকি থাকে আর এ অবস্থায় অন্য কোনো ইহরামকারীর চুল কেটে দেয় তাহলে মুÐনকারীর উপর এক ফিতরা সমপরিমাণ সদকা করা ওয়াজিব। আর যার মাথা মুণ্ডানো হয়েছে তার কোনো আমল বাকি থাকলে তার উপর একটি দম ওয়াজিব।

লক্ষণীয় যে, মারওয়াতে অল্প চুল কাটার দ্বারা আপনারা ইহরাম থেকে হালাল হননি। পরে হোটেলে গিয়ে পূর্ণ মাথার চুল কাটার দ্বারাই হালাল হয়েছেন। কেননা চুল কাটা বা মাথা মুণ্ডানোর ক্ষেত্রে কমপক্ষে মাথার এক চতুর্থাংশের চুল কাটা বা মুণ্ডানো জরুরি। এর চেয়ে কম মুণ্ডালে বা চুল কাটলে হালাল হওয়া যায় না। চুল কাটার ক্ষেত্রে তা চুলের অগ্রভাগ থেকে আঙ্গুলের এক কর পরিমাণ হওয়া জরুরি। এর চেয়ে কম পরিমাণ চুল কাটা হলে ইহরাম থেকে হালাল হবে না।

প্রকাশ থাকে যে, চুল ছোট করার চেয়ে মাথা মুণ্ডানো উত্তম। আর উভয় ক্ষেত্রেই আংশিক চুল না কেটে পূর্ণ মাথা মুণ্ডানো বা পূর্ণ মাথার চুল ছোট করাই নিয়ম।

-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১৬১৩৯; মানাসিক, মোল্লা আলী আলকারী, পৃ. ২৩০; গুনয়াতুন নাসিক, পৃ. ১৭৩, ২৫৮; আলমাসালিক ফিল মানাসিক ১/৫৭৭

Read more Question/Answer of this issue