Shawal 1441 || June 2020

আহসান হাবীব - সিলেট

৫১১০. Question

আমার এক মেয়ে আজ প্রায় ১৫-১৬ বছর যাবত অনেক বেশি অসুস্থ। এত বেশি অসুস্থ যে, তা বর্ণনা করে বুঝানো সম্ভব নয়। শুধু এতটুকু বলব যে, সে যে বেঁচে আছে এটা কেউ বিশ্বাসই করতে চায় না। মাঝখানে তার মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত ছিল। অর্থাৎ তার বয়স যখন আঠারো ছিল মারাত্মক অসুস্থতার কারণে ওজন ১৭ তে নেমে আসে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আল্লাহ তাকে হাজারো মানুষের দুআয় বাঁচিয়ে রেখেছেন। হুজুরের কাছে যে বিষয়ে জানতে চাচ্ছি তা হচ্ছে, ১৫-১৬-১৭-১৮ বয়সগুলোতে সে লাগাতার রোযা ভাঙে। এছাড়া পরবর্তীতে ডাক্তারদের অনুরোধে আরো কিছু রোযা ভাঙে। এখন তার বয়স ত্রিশ। কষ্ট করে রোযা নামায যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছে। সে নিজেকে সুস্থ মনে করে এ হিসেবে যে, আল্লাহ তাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনে বৈবাহিক জীবন যাপনের তাওফীক দিয়েছেন এবং অকল্পনীয়ভাবে সন্তানের মাও বানিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে সে সুস্থ নয়। কারণ এমন এমন কিছু জটিল রোগ আছে, যা বাহ্যদৃষ্টিতে নিরাময় হবে বলে মনে হয় না। বরং প্রায়ই তার থেকে শাখাগত রোগ দেখা দিয়ে থাকে। তাই মাঝে মাঝে সে আমাকে বলে থাকে, বাবা! রোযাগুলোর কী হবে? সেগুলোর কি ফিদয়া দেওয়া যায় না? তাই সে কি উক্ত রোযাগুলোর ফিদয়া দিতে পারবে? জানালে উপকৃত হব।

Answer

প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার মেয়ের উক্ত রোযাগুলোর জন্য এখনই ফিদয়া দিতে হবে না। বরং সে অপেক্ষা করবে। যদি সে পুরো সুস্থ হয়ে যায় তখন ধীরে ধীরে কাযা করার চেষ্টা করবে। আল্লাহ তাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করুন! আর যদি বাহ্যত এমন আশা না থাকে তাহলে ফিদয়া দিতে পারবে। এছাড়া ফিদয়ার জন্য অসিয়তও করে রাখতে পারে।

-আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৬১; আলহাবিল কুদসী ১/৩০৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪০৯; আলবাহরুর রায়েক ২/৪৯৫; জামেউর রুমূয ১/৩৬৮

Read more Question/Answer of this issue