Jumadal Ula 1441 || January 2020

আবদুল মুয়ীয - বনশ্রী, ঢাকা

৫০০০. Question

আমার এক আত্মীয় শহরে চাকরির খোঁজে এসে আমাদের বাড়ীতে উঠেছে প্রায় এক বছর হল। যতদিন চাকরি হচ্ছে না ততদিন আমাদের এখানেই সে থাকবে এবং আমাদের সঙ্গেই খাবে- একথা আমি তাকে বলেছি। কিন্তু দীর্ঘ একটা সময় পার হওয়ার পরও চাকরি পাবার ক্ষেত্রে তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। এদিকে জীবন নির্বাহের জন্য সাধারণ কোনো পেশা গ্রহণেও সে আগ্রহী নয়। একপর্যায়ে গত কয়েক দিন আগে আমি তাকে বলেই ফেললাম, ‘আল্লাহর কসম, যদি তুমি নিজ পায়ে দাঁড়ানোর একটা উপায় না কর তাহলে আমি আর তোমার সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারব না।’ তবে সেইসাথে আমি আমার এই কথার শেষে যুক্ত করে দিলাম, ‘ইনশাআল্লাহ’। এরপর আরো মাসখানেক সময় পার হয়েছে। সে এখনো তার কোনো গতি করতে পারেনি। আমি  তো কসম করেছি, রোযগারের পথ করতে না পারলে তাকে আর সাহায্য করব না। কিন্তু এখন তার অবস্থা দেখে মায়া হচ্ছে। এ মুর্হূতে আমার কী করণীয়? আমি যদি আবারো তাকে সহযোগিতা করতে চাই তাতে কি আমার কসম ভঙ্গ করার কারণে কাফফারা দিতে হবে? জানালে উপকৃত হব।

 

 

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কসম বাক্যের সাথে যেহেতু ইনশাআল্লাহ বলেছেন তাই আপনার কসম সংঘটিত হয়নি। সুতরাং আপনি চাইলে তাকে সহযোগিতা করতে পারেন। সহযোগিতা করলে কসমের কাফফারা দেওয়া ওয়াজিব হবে না।

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، يَبْلُغُ بِهِ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ، قَالَ: مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ، فَقَالَ: إِنْ شَاءَ اللهُ فَقَدْ اسْتَثْنَى.

হযরত ইবেন উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো কসমের বাক্য উচ্চারণ করে এবং বলে ‘ইনশাআল্লাহ’ তাহলে সে তার কসম প্রত্যাহার করে নিল। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩২৫৬; সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৭/৩৬১)

-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৬/২৫৬; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৯৭; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৭৪২

Read more Question/Answer of this issue