Muharram 1441 || September 2019

রুহুল আমীন - শার্শা, যশোর

৪৮৬৮. Question

আমাদের গ্রামের বাজার মসজিদে নামাযের জামাত দাঁড়াতে প্রায়ই পাঁচ-দশ মিনিট দেরি হয়। জামাত নির্ধারিত সময়ে দাঁড়াবার নিশ্চয়তা না থাকায় অনেক মুসল্লীই জামাতের অপেক্ষা না করে একাকী নামায পড়তে দাঁড়িয়ে যায়। যেহেতু দোকানদারি ফেলে আসতে হয় তাই দ্রুত ফেরার তাগাদা থাকে। কিন্তু দেখা যায়, অনেক সময়ই নামাযের বেশ কিছু অংশ; যেমন, এক রাকাত, দুই রাকাত, কখনো বা তিন রাকাত পড়ে ফেলার পর জামাত আরম্ভ হয়ে গেছে। আমার কথাই বলি, কয়েক দিন নিয়ত বেঁধে দাঁড়িয়ে গেলাম। এশার নামায ছিল সেটা। এক রাকাত শেষ করে দ্বিতীয় রাকাতে যখন কেরাত আরম্ভ করেছি তখন জামাত আরম্ভ হয়ে যায়। এ অবস্থায় আমি বুঝতে পারছিলাম না- আমার কী করণীয়। আমি কি নামায ছেড়ে দিয়ে জামাতে অংশগ্রহণ করব, নাকি পুরো নামায একাকী শেষ করে ফেলব- যেমনটা সাধারণত করে থাকে এখানকার অন্য মুসল্লীরা- নাকি দুই রাকাত পূর্ণ করে জামাতে অংশ নেব। অবশেষে চিন্তা করে দ্বিতীয় রাকাত সমাপ্ত করে জামাতে শরীক হয়ে গেলাম। প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের ক্ষেত্রে আসলে কী করা উচিত? তাছাড়া আমি যা করেছি তা কি ঠিক হয়েছে? জানিয়ে বাধিত করবেন। বিস্তারিত বললে ভালো হয়।

Answer

এশার নামায একাকী শুরু করার পর জামাত আরম্ভ হয়ে গেলে যদি পরিপূর্ণ এক রাকাত পড়া হয়ে যায় তাহলে সাথে আরেক রাকাত পড়ে নিয়ে সালাম ফিরাবে। তারপর জামাতে শরীক হবে। এক্ষেত্রে তার এ দু‘রাকাত নফল বলে গণ্য হবে। আর যদি একাকী দুই রাকাত পড়ার পর জামাত শুরু হয়ে যায় তাহলে তৃতীয় রাকাতে না দাঁড়িয়ে তাশাহহুদ পড়ে সালাম ফেরাবে এবং জামাতে শরীক হয়ে যাবে। কিন্তু যদি এক রাকাতও পূর্ণ করা না হয়ে থাকে তাহলে ঐ অবস্থাতেই নামায ভেঙ্গে দিয়ে জামাতে শরীক হবে।

উল্লেখ্য যে, মসজিদ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হল, একটা নির্ধারিত সময়ে জামাত শুরু করা এবং বিশেষ কোনো ওজর না থাকলে ইমাম সাহেব ঐ সময়ের মধ্যেই নামায শুরু করবেন, যেন মুসল্লীদের অন্যান্য কাজে ব্যাঘাত না ঘটে।

-আলজামেউস সাগীর পৃ. ৮৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৬৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১৯; ফাতহুল কাদীর ১/৪১০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৩১০; আলবাহরুর রায়েক ২/৭০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫০

Read more Question/Answer of this issue