Zilqad 1440 || July 2019

মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম - রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ

৪৮২৪. Question

হযরতের কাছে বিনীত নিবেদন এই যে, আমাদের এলাকায় লোকজন বিভিন্ন পদ্ধতিতে জমি চাষাবাদ করে। যার মধ্যে একটি পদ্ধতি হল- একজন ব্যক্তি অপরজন থেকে উদাহরণ স্বরূপ এক বিঘা জমি ৫ বছরের জন্য নেয় এবং অগ্রিম বাবদ দেড় লক্ষ টাকা দেয় এবং চুক্তি হয় যে, সে জমিওয়ালাকে প্রতি বছর ৫৬০ টাকা করে ভাড়া দিবে এবং নির্ধারিত বছরের পর পূর্ণ টাকা জমিওয়ালা থেকে ফেরত নিবে। অথবা প্রতি বছর ৫৬০ টাকা করে ভাড়া না দিয়ে নির্ধারিত বছরের পর মূল টাকা থেকে ৫৬০ টাকা করে প্রতি বছরে বাদ দিয়ে বাকি টাকা জমিওয়ালা ফেরত দিবে। যেমনটি দোকানের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।

হযরতের কাছে জানার বিষয় হল, উল্লেখিত পদ্ধতিতে জমি চাষাবাদ করা জায়েয হবে কি না?

Answer

ঋণ দিয়ে বিনিময়ে গ্রহীতার জমি বন্ধক রাখা এবং তা চাষাবাদ করে ভোগ করার প্রশ্নোক্ত পন্থা শরীয়তসম্মত নয়। এটি মূলত সুদভিত্তিক ঋণ প্রদানেরই একটি প্রকার। আর এক্ষেত্রে এই লেনদেনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য নামেমাত্র যে ভাড়া (১ বিঘায় ৫৬০ টাকা) কর্তন করা হচ্ছে এর দ্বারা জমি ভোগ করা জায়েয হয়ে যায় না। প্রকৃতপক্ষে উক্ত দেড় লক্ষ টাকা ঋণের কারণেই নামে মাত্র ৫৬০ টাকা ভাড়ায় জমি চাষের জন্য দেওয়া হয়েছে। তাই এমন কারবার করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

আর বৈধ পন্থায় জমি দিয়ে টাকা নিতে চাইলে বন্ধকি চুক্তি না করে ভাড়া বা লীজের চুক্তি করবে। যেমন কারো যদি ১৫ হাজার টাকার প্রয়োজন হয় আর এক বিঘা জমির বার্ষিক ভাড়া ৩ হাজার টাকা হয়; তবে সে ৫ বছরের জন্য জমিটি ভাড়া দিয়ে ১৫ হাজার টাকা অগ্রিম ভাড়া বাবদ নিয়ে নিবে। তারপর যত বছর ভাড়াগ্রহীতা উক্ত জমি ভোগ করবে তত বছরের ভাড়া সেই ১৫ হাজার টাকা থেকে কর্তিত হবে। আর কোনো কারণে যদি ৫ বছরের আগে জমি ফেরত দেয় বা পারস্পরিক সম্মতিতে ভাড়া চুক্তি বাতিল করা হয় তাহলে ভাড়াগ্রহীতা অবশিষ্ট টাকা ফেরত পাবে।

-আননুতাফ ফিল ফাতাওয়া পৃ. ২৯৬; রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮২; শরহুল মাজাল্লাহ, আতাসী ৩/১৯৬; আলফুলকুল মাশহুন (মাজমুআতু রাসাইলিল লাখনবী ৩/৪১২)

Read more Question/Answer of this issue