নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক - সাভার, ঢাকা
৪৭৯৩. Question
সম্মানিত মুফতী সাহেব! প্রায় দশ বছর আগে আমি এক এলাকায় ঘুরতে গিয়ে সেখানকার মসজিদের গাছের ফল চুরি করে খেয়েছি। পরে খাওয়ার জন্য কিছু ফল সাথে করে নিয়েও এসেছিলাম। তখন অনেক ছোট ছিলাম বিধায় এর ভয়াবহতা বুঝতে পারিনি। এখন আমি বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত। এর দায়মুক্তির জন্য আমাকে কি কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে?
একবার ভাবি অন্যায় হয়নি। আবার মনে হয় তখন তো আমি ছোট ছিলাম তাই এর কোনো হিসাব হবে না। তবে এর বিপরীতে ভিন্ন ভাবনাও কাজ করে।
তাই জানার বিষয় হল, এ অবস্থায় কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে হলে কোথায় কীভাবে দিতে হবে? সে মসজিদ ছাড়া অন্য মসজিদে দিলে আদায় হবে কি না? কেননা আমরা এখন সে মসজিদ থেকে অনেক দূরে থাকি। সেখানে কোনো কিছু পাঠানো খুবই কষ্টসাধ্য। উপরোক্ত বিষয়গুলো বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ রইল।
Answer
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মসজিদের গাছ থেকে আপনি যে ফলগুলো খেয়েছেন তার ন্যায্যমূল্য ঐ মসজিদের ফান্ডেই পৌঁছে দিতে হবে। কেননা তা ঐ মসজিদের হক। অন্য মসজিদে দিলে তা আদায় হবে না। কিছু কষ্ট হলেও নির্ধারিত মসজিদেই টাকা পৌঁছে দিবেন।
প্রকাশ থাকে যে, মসজিদের গাছের ফলমূল মসজিদেরই সম্পদ। এগুলোর বিক্রিলব্ধ অর্থ মসজিদের প্রয়োজনে ব্যয় করতে হয়। মুসল্লীদের জন্য তা বিনামূল্যে খাওয়া বৈধ নয়। আর ছোট অবস্থায় কারো সম্পদ চুরি বা নষ্ট করলে বুঝ হওয়ার পর তারও ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। বড় হওয়ার পর এ অজুহাত দাঁড় করানো যাবে না যে, আমি তো তখন ছোট ছিলাম।
-ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩১০; আলইসআফ ফী আহকামিল আওকাফ পৃ. ২২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৪৭৭; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৪৩২